আমরা এখন বলতেই পারি মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে আমাদের যে পরিমাণ জ্ঞান রয়েছে গভীর সমুদ্র নিয়ে আমাদের ততোটা নেই। কারণ সমুদ্রের সামগ্রিক কাঠামোর মাত্র ০.০৫ শতাংশই আমরা দেখতে পেয়েছি। তাই এক্ষেত্রে আমাদের ধারণা অস্পষ্টই বলেই ধরা চলে।
একবার চিন্তা করে দেখুন আমরা ভীন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে যাচ্ছি অথচ সমুদ্রের বেলায় শুধুমাত্র তাসমানিয়ার আকারের সমান জায়গা আবিষ্কার করতে পেরেছি। এখান থেকেই বোঝা যায় সমুদ্রের সাথে আমরা কতটুকু বোঝাপড়া করতে পেরেছি। তবে ধন্যবাদ দেয়া যায় গভীর সমুদ্র ডুবুরিদেরকে যারা আমাদেরকে গভীর সমুদ্র সম্পর্কে একটা আভাস দিতে পেরেছেন আসলেই কী লুকিয়ে রয়েছে এর গভীরে।
রাশিয়ার বন্দরনগর মরমেন্সকের গভীর সমুদ্রের জেলে Roman Fedortsov যিনি আর্কটিক মহাসাগরে পতিত হওয়া অপেক্ষাকৃত অগভীর Barents সাগরের আশেপাশে ঘুরে এসেছেন। তিনি আর্কটিক মহাসগরের উপকূলসহ মরক্কোর সকল উপকূবর্তী এলাকা দিয়ে মাছ ধরে থাকেন। সম্প্রতি তিনি তার টুইটার একাউন্টে গভীর সমুদ্রের কিছু অদ্ভূত প্রাণীর ছবি পোষ্ট করেছেন যেগুলো তার জালে আটকা পরেছিলো।
আপনার হয়তো জানা আছে এঞ্জেল ফিশ দেখতে কেমন হয় কিন্তু এটা যখন কারো হাতের তালুতে নিয়ে দেখলে এটাকে পুরোপুরি অন্যরকম কিছু মনে হবে।
এই প্রাণীগুলো সমুদ্রের ‘টুইলাইট জোন’ এ বাস করে যা পৃষ্ঠ থেকে ২০০ থেকে ১,০০০ মিটার গভীরে। অঞ্চলটি মেসোপেলিকক নামেও পরিচিত।
মেসোপেলিকক অঞ্চলের নিচের এলাকা যা ১,০০০ থেকে ৪,০০০ মিটার গভীরের একটি স্থান রয়েছে যেখানে সূর্যের আলো পৌছায়না। এই অঞ্চলের অন্ধকার আলোর সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে শুষে নেয় কোন অংশ ফিরিয়ে না দিয়েই, যা এদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে হারিয়ে যায়। ফলে এরা খুব অল্প পরিমাণ আলোর সংস্পর্শেই আসতে পারে।
মাছ ধরার জালে আটকা পড়ার কারণে প্রাণিগুলো মারা গেছে। তবে এই ছবিগুলো আমাদেরকে এই পৃথিবী সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
নিচে Fedortsov এর টুইটার একাউন্ট আরও কিছু অসাধারণ ছবি তুলে ধরা হলো।
[সাইন্স এলার্ট –অবলম্বনে]
–শফিকুল ইসলাম
বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন ইউটিউবে। লিংক:
১. স্পেস এক্সের মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা
২. মাইক্রোস্কোপের নিচের দুনিয়া