উদ্ভাবক কিয়াহি সিমুর ২৫ বছর ধরে স্বপ্ন দেখছেন তাঁর দৌড়ের গতি এবং লাফিয়ে চলার দক্ষতা পশুদের মতো করবেন। ১২ বছর বয়সে একটি ক্যাঙ্গারুর ভিডিও দেখে তিনি এই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি একটি যন্ত্রের মধ্যে স্প্রিংয়ের সমন্বয় করে মানুষের ব্যবহারযোগ্য একটি পরিধেয় তৈরী করা চেষ্টা করছেন। এজন্য তিনি উট পাখিকে মডেল হিসেবে বেছে নিয়ে একটি নকশা তৈরী করা শুরু করেন। উট পাখিকে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটা মানুষের মতোই দুই পায়ে দৌড়ায়।
এরই ধারাবাহিকতায়, ১৭ বছর বয়সে পুরনো রোলারব্লেড জুতো, ইস্পাতের পাইপ, নাইলনের দড়ি ব্যবহার করে প্রথম বায়োনিক জুতার একটি প্রোটোটাইপ বা নকশা তৈরী করেছিলেন। এরপর তিনি আরো ২০০ টি নকশা তৈরী করেন। বর্তমানে সিমুরের কৃত্রিম জুতো (বায়োনিক বুট) তাকে ঘন্টায় প্রায় ২৫ মাইল গতিতে চালিত করতে পারে। সিমুর বলেন, “এটা সত্যিই আপনাকে অতিমানবীয় একটি অনুভূতি দেবে।” তিনি আশা করেন, জুতোর গোড়ালিতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের সাথে স্প্রিংযের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এই গতি ৪০ মাইলে উন্নীত করতে পারবেন।
বায়োনিক বুটের বিবর্তনঃ
পরবর্তীতে তিনি তারের জাল, ফাইবার গ্লাস এবং ইস্পাতের পাইপ ও নাইলনের দড়ির সাথে স্প্রিং দিয়ে তৃতীয় নমুনাটি তৈরী করেন। এই জুতোগুলো মাটি থেকে ১০ ইঞ্চি উপরে থকলেও স্থিতিশীল ছিলো। তবে এর গতি ঘন্টায় ১৫ মাইলের বেশি ছিলোনা।
নমুনাগুলোর ওজন ১০ পাউন্ড থেকে ৬ পাউন্ডে নামিয়ে আনার জন্য পরবর্তীতে তিনি ফাইবার গ্লাসের পরিবর্তে অত্যন্ত হালকা ও উন্নতমাণের এলুমিনিয়াম ব্যবহার করেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করেন। [পপুলার সাইন্স-অবলম্বনে]
-শফিকুল ইসলাম