কয়েকবছর ধরেই বিজ্ঞানীরা নারীর পরিবর্তের পুরুষের শরীরে প্রয়োগযোগ্য, নিরাপদ ও কার্যকর গর্ভনিরোধক তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকগণ এধরনের একটি ওষুধের সফল প্রয়োগের ঘোষনা দেন। ১১-বেটা-এমএনটিডিসি নামের এই ওষুধটি ৪০ জন পুরুষের উপর প্রয়োগ করে এর কার্যকারীতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ১১-বেটা-এমএনটিডিসি টেস্টোস্টেরন হরমোনকে রূপান্তরের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
লস এঞ্জেলেস বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পুরুষ প্রজননতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা ওয়াং এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের গবেষণার ফলাফল হতে দেখা যায় এই ওষুধটি যৌন উদ্দীপনা ধরে রেখে পুরুষের শুক্রাণুর উৎপাদন হ্রাস করবে।” ওয়াং এবং তাঁর দল পরীক্ষাটির জন্য ৪০ জন স্বাস্থ্যবান পুরুষকে বেছে নেন। ২৮ দিন যাবৎ এদের মধ্য হতে ৩০ জন্য ১১-বেটা-এমএনটিডিসি ওষুধটি হালকা কিংবা গাঢ় মাত্রায় সেবন করেন। আর বাকী দশজনকে দেওয়া হয় কেবল প্লাসিবো (প্লাসিবো দেখতে ওষুধের মতো কিন্তু এতে ওষুধের কার্যকর উপাদান থাকে না)।
দলের অপর একজন সদস্য গ্রন্থিতন্ত্রবিদ স্টেফানি পেইজ ব্যাখ্যা করেন, “এই ওষুধ প্রয়োগে শুক্রাশয়ে টেস্টোস্টেরন তৈরি হয় না এবং শরীরের অন্য সর্বত্র এন্ড্রোজেন কার্যকরভাবে কর্মক্ষম থাকে পুরুষের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন: চুলের গড়ন, গভীর কন্ঠস্বর, যৌন উদ্দীপনা এবং কর্মক্ষমতা ইত্যাদির উপর এর প্রভাব পড়ে না।”
প্রাথমিক পরীক্ষা হতে দেখা যায়, মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট হিসেবে প্রয়োগে ওষুধটি কর্মক্ষম। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এটিকে নিরাপদ হিসেবেই পাওয়া গেছে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন, ক্লান্তি, মাথাব্যাথা, চুলকানি এসব উপসর্গ দেখা গেছে।
ওষুধটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার আগে আরো নানাবিধ পরীক্ষা-নীরিক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে। [ScienceAlert অবলম্বনে]
বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন ইউটিউবে। লিংক:
১. টেলিভিশনঃ তখন ও এখন
২. স্পেস এক্সের মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা
3. মাইক্রোস্কোপের নিচের দুনিয়া