বিশ্বব্যাপী যে খাবার খাওয়া হয় তার প্রতি তিনটি কামড়ের মধ্যে একটির সমপরিমাণ ফসল উৎপাদিত হয় পরাগবাহী পতঙ্গ থেকে, বিশেষ করে মৌমাছি থেকে। বিগত কয়েক মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার সমগ্র বাদাম বাগানগুলোতে যে পরিমাণ মৌমাছির চাক ধ্বংসকরা হচ্ছে তাতে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিদ্যমান মৌমাছির সংখ্যা নিয়ে আশংকা করা যায়।
বিগত দশ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মৌমাছি খামারের মালিকগনের শতকরা ৩০ ভাগ অথবা তারও বেশি মৌচাক নষ্ট হয়েছে। কিন্তু শীতকালে যুক্তরাষ্ট্রের মৌমাছি খামারের মালিকগন ৪০ থেকে ৫০ ভাগেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বাদাম গাছে সার প্রয়োগের মতো দেশের বৃহত্তম পরাগবহনকারীর ইভেন্টে বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি খামারিদের মৌচাক পরিবহনের প্রস্ততি নিচ্ছে।
আট লক্ষ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ক্যালিফরর্নিয়ার বাদাম বাগান যা ঐ প্রদেশের সর্ববৃহৎ বৈদেশিক রপ্তানি পণ্য, তাতে পরাগায়ন এবং ফসল উৎপাদনের জন্য ১.৬ মিলিয়ন গৃহপালিত মৌমাছির চাকের প্রয়োজন হচ্ছে । কিন্তু শীতকালে তথাকথিত রোগের কারণে মৌমাছির চাক ধ্বংস হওয়ার ফলে ক্যালিফোর্নিয়ার বাদাম উৎপাদকরা একত্র হয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা মৌচাক দিয়ে পরাগায়ন করে যাচ্ছেন। টিম টাকার যিনি আমেরিকান বিজকিপিং ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও কানসাসের টাকারবিজ হানির মালিক (তিনিও শীত মৌসুমে ৫০ ভাগ মৌচাক নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন) বলেন, “ক্যালিফরর্নিয়ার বাদাম ফলের মতো অন্যান্য ফসলে এত মৌমাছির প্রয়োজন হয়না, ফলে এর হ্রাস হয়ে যাওয়াটা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। যদি এইভাবে চলতে থাকে তবে অবশ্যই দৃষ্টিগোচর হবে।”
“বর্তমান লোকসান এখানেই থেমে থাকবে না, মানসম্পন্ন মৌমাছির পরিমাণ ক্রমাগত নিম্নগামী হওয়ার সাথে সাথে তা বাড়ছে। যদি সমস্যার সমাধান খুঁজে না পাওয়া যায় এবং মৌমাছি এভাবে বিপন্ন হতে থাকে তবে বলা যায় বিপুলসংখ্যক মৌমাছি হারাতে চলছি।”
ইরোপীয় কমিশন যখন Neonicotinoids নামে পরিচিত এক শ্রেণীর কীটনাশকের উপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয় তখনি এ বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হতে শুরু করে। এই কীটনাশকটি এখন বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। Neonicotinoids কে মৌমাছির চাক ধ্বংস করার জন্য প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা কর্তৃক কীটনাশককে মৌমাছি এবং অন্যান্য পরাগবাহীদের উপর ‘তীব্রমাত্রার ঝুঁকি’ রয়েছে বলে মত প্রকাশের তিন মাস পর ইরোপীয় কমিশন এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।
ইউরেপীয় কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মৌমাছিদের আকর্ষণ করার জন্য বীজ, গাছ সেইসাথে শস্যের উপর তিনটি প্রধান neonicitinoids ব্যবহার সীমিত করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমিশনার টনিও বরগ বলেন, “আমাদের ইকোসিষ্টেমের জন্য অত্যাবশ্যক এবং ইউরোপীয় কৃষিতে বার্ষিক ২২ বিলিয়ন ইউরো [২৯ বিলিয়ন ডলার] অবদান রাখা এই মৌমাছি রক্ষায় আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।”
বিশ্বের খাদ্য মজুতের উপর মৌমাছির উপনিবেশ ধ্বংসের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকায় বিজ্ঞানী এবং নীতিনির্ধারকদের মতো ইউরোপীয় কমিশনও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বলা হয় যে, এই গ্রহের গুরুত্বপূর্ণ একশটি শস্য পতঙ্গ পরাগায়নের উপর নির্ভর করে। সম্প্রতি ছয়টি মহাদেশের ৪১ টি ফসলের উপর এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কুমড়া থেকে জাম্বুরার মতো ক্ষণিক ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বন্য মৌমাছির প্রাধান্য অনেক বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কেবলমাত্র ঘরোয়া মৌমাছি দ্বারা ফসল উৎপাদনের পরিণাম হিসেবে উৎপাদিত ফসলের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও অনেক জায়গায় বন্য মৌমাছির বংশবৃদ্ধি পতনের সম্মুখীন হচ্ছে।
Neonicotinoids ই যে সাম্প্রতিক মৌমাছি হ্রাসের মূল কারণ এই ব্যাপারে কেউ অনুসন্ধান করছে না। টাকারসহ অন্যান্য খামারি এবং পতঙ্গবিজ্ঞানীরা বলেন যে, চাক ধ্বংস হচ্ছে মূলত কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশকের সমন্বিত বিস্তৃত ব্যবহারের ফলে, সেইসাথে মৌচাকে ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার ও পরজীবিদের বসবাসও অনেকাংশে দায়ী। যদিও অতি ক্ষুদ্র প্রজাতির কীটবিশেষ এবং রোগ, গৃহপালিত মৌমাছির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে, তবুও সাম্প্রতিককালের মৌচাক ধ্বংসের কারণ হিসেবে কোন রোগবাহী জীবাণু কিংবা পরজীবি ছত্রাকের সংশ্লিষ্টতার স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মৌমাছির উপনিবেশের অতিরিক্ত মাত্রায় বিষাক্ত কৃষি কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়ায় বর্তমান মৌমাছি হ্রাসের জন্য Neonicotinoids এর ভূমিকা আরও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণে পতঙ্গবিজ্ঞানীদের উৎসাহি করে তুলছে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চাকের রাণী মৌমাছির পতনে Neonicotinoids এর ভূমিকা রয়েছে এবং এটি মৌমাছিদের মৌচাকে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জেমস ফ্রেজিয়ার বলেন, Neonicotinoids’র উপর বিশেষভাবে অন্যান্য কীটনাশকের সমন্বয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন রয়েছে ।
পারডু ইউনিভার্সিটির কীটতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান ক্রাক বলেন, “এই অপরিচিত ক্ষেত্রে আমরা এমন বালাই ব্যবস্থাপনা আগে কখনো করিনি।” যদিও শক্তিশালী ক্ষতিকারক হিসেবে Neonicotinoids এর ভূমিকা প্রকাশ করা হয়নি তবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একজন মৌমাছি পালক এরিক মাসেন লক্ষ্য করেন এসব কীটনাশকের বিরুদ্ধে যেসব দোষারোপ করা হয়েছে তা সুষ্পষ্ট নয়। উদাহরণস্বরূপ, অষ্ট্রেলিয়াতে Neonicotinoids’র ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সেখানে মৌমাছিরা দৃশ্যত ভালো রয়েছে। এবং অতি ক্ষুদ্র প্রজাতীর পরজীবি varroa কীট বিশেষ কোন সমস্যা করছেনা। কানাডাতেও Neonicotinoids ব্যবহৃত হয় কিন্তু সেখানে চাকের পতন সার্বিকভাবে দৃশ্যমান নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন প্রকার পরিবেশবাদী সংস্থা এবং বাণিজ্যিক মৌমাছি পালন খামারিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ রক্ষা সংস্থা (EPA)এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কারণ তাঁরা Neonicotinoids এর নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে উপর শর্তযুক্ত নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছেন। এতে বলা হয় সংস্থাটি পরিবেশগত ব্যাপারে বিশেষকরে পরাগবাহীদের বিষয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেনি।
EPA এখন তাদের নিবন্ধন পর্যালোচনা করে দেখছেন, মৌমাছিদের উপর এসব কীটনাশকদের সম্ভাব্য প্রভাব কতটুকু। সংস্থাটি একটি ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁরা মৌমাছি এবং অন্যান্য পরাগবাহীদের রক্ষায় মৌমাছি খামারির মালিক, উৎপাদনকারী, কীটনাশক প্রস্তুতকারী এবং অন্যান্যদের সঙ্গে কীটনাশকের ব্যবহার, লেভেলিং এবং উন্নত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে পুংঙ্খানুপুংঙ্খ পর্যালোচনা করছেন। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে EPA কমিটি কীটনাশক ও কৃষি সরঞ্জাম নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করছেন Neonicotinoids প্রদান করার সময় যেন এর দূষণের মাত্রা কমানো যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ৯৫ ভাগ Neonicotinoids ব্যবহৃত হচ্ছে ভুট্টা ও ক্যানোলা ফসল উৎপাদনে এবং বেশিরভাগ তুলা, সুগারবিট এবং প্রায় অর্ধেক সয়াবিনেও ব্যবহার হয়। প্রচুর উদ্ভিজ্জ ফসল, যেমন: আপেল, চেরি, পীচ, কমলা, বেরি, শাক সব্জি, টমেটো, আলু সহ আরোও অনেক ফসলে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। খাদ্যশস্য হিসেবে চাল, বাদাম, এবং ওয়াইন আঙ্গুরেও Neonicotinoids প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ টেকসই সেন্টার গবেষণা অধ্যাপক চার্লস বেনব্রুক বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৭৫ ভাগ জমির ফসল,শহুরে গাছ-পালায়, বাগানগুলোতে বন্য এবং গৃহপালিত মৌমাছির মতো কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে Neonicotinoids ব্যবহৃত হয়ে আসছে।”
নব্বই এর দশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার যখন এসব কীটনাশকের অনুমোদন এবং নিবন্ধন দিচ্ছিলেন তখন Neonicotinoids এর পরিবেশগত প্রভাবের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলছিল না। এটিকে ওই সময়ের পূর্ববর্তী প্রজন্মের কীটনাশকের চেয়ে নিরাপদ মনেকরা হচ্ছিল, বিশেষত organochlorines এবং organophosphates কে। যা কিনা পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলত। Neonicotinoids পোকামকড়ের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে এবং স্তন্যপায়ীদের জন্য কম বিষাক্তকর মনে করা হয়। এটিকে সাধারণত পদ্ধতিগত কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা চলতে থাকে। অর্থাৎ, উদ্ভিদ বৃদ্ধির সাথে এটিও সেখানে থেকে যাবে এবং এটি বীজ চিকিৎসার মতো স্প্রের পরিবর্তে গাছের মূল অথবা শাখায় ব্যবহৃত হয়। এতে অন্যান্য কীটনাশকের তুলনায় এটি মানুষের জন্য ক্ষতির মাত্রা হ্রাস করে।
কিন্তু উদ্ভিদ বৃদ্ধির সাথে সাথে কীটনাশক থেকে যাওয়ার কারণে তা ফুলের মধু, রেণু ও পাতার পৃষ্ঠ আদ্রতায় প্রকাশ পায় যার মাধ্যমে মৌমাছির ক্ষমতার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে। যেখানে ক্রমাগত হারে গবেষণাগুলোতে Neonicotinoids এর প্রমাণ খুঁজছে। EPA কমিটির কাছ থেকে নিবন্ধন নেয়ার সময় দাখিলকৃত দলিলে Neonicotinoids মৌমাছি, কেঁচোসহ অন্যান্য জলজ ও স্থলজ অমেরুদন্ডী প্রাণীর জন্য বিষাক্ত হিসেবে পরিচিত ছিল।
পেন স্টেট এর ফ্রেজিয়ার বলছেন, “Neonicotinoids এর বিষাক্ততা মানুষের জন্য কমেছে কিন্তু এর পরিণাম ভবিষ্যদ্বাণী করার সময় পরিবেশগত এবং বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব বিস্তারিতভাবে বিবেচনা করা হয়নি।”
মিনেসোটা ভিত্তিক মৌমাছি পালক স্টিভ এলিস বলেন, “এই রাসায়নিক মিশ্রিত হওয়া এখন পরাগবাহীদের জন্য দুঃস্বপ্নের দৃশ্যকল্প হয়ে দাড়িয়েছে। এই রাসায়নিকের প্রভাব প্রতিহত করার কোন উপায় নেই। এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন একটাই, এটাই কি সত্যিকারের সমস্যা, কি না। কীটনাশক শিল্প বলছে না, মৌমাছি পালন শিল্প বলছে হ্যাঁ।”
ডোন এবং এলিস উভয়েরই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৌমাছি ও মৌচাক এর নাটকীয় লোকসানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। উভয়েই বলেছেন তাঁদের মৌমাছি এবং মৌচাকের উপর Neonicotinoids এর পরীক্ষা ইতিবাচক ফল দিয়েছে। এখনো উভয় ক্ষেত্রেই কীটনাশক প্রস্তুতকারী এবং কৃষি কর্তৃপক্ষ মৌচাক ক্ষতিগ্রস্থের বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দেখেছেন, মৌমাছির মৃত্যুতে এইসব কীটনাশকের উপস্থিতি সন্দেহাতীতভাবে সম্পর্কিত নয়। ডোন এবং এলিস এখন EPA এর বিরুদ্ধে মামলার পরিচালকদের একাংশ।
কীটনাশক প্রস্তুতকারীদের মধ্যে বেয়ার ক্রোপসাইন্স ও সিনজেনটা এবং তাদের বাণিজ্য সমিতি ক্রোপলাইফ আমেরিকা বলে, যদি Neonicotinoids এর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করা হয় তবে এটা নিরাপদ। এই মিশ্রণটি জৈবিকভাবে সীমিত সময়ের জন্য সক্রিয় থাকে যতক্ষণ নিশানাকৃত পোকামাকড়েরা সক্রিয় থাকে। তাঁদের নির্মাতা বলছেন, পরীক্ষাগুলো এটাই দেখাচ্ছে সকল মৌমাছি এবং নিশানার বাইরের পোকামাকড়ের উপর এর প্রভাব বিপরীত ও ঝুঁকি অল্প।
বেয়ার ক্রোপসাইন্স এর টক্সিকোলজিস্ট ডেভিড ফিশার বলেন, “আমরা এসব নিরাপদে ব্যবহার করতে পারি এবং এগুলো মৌমাছির স্বস্থ্য বিপন্ন করবেনা। মৌচাক হ্রাস এবং এসব পণ্য ব্যবহারের মাঝে পারষ্পরিক কোন সম্পর্ক নেই। যে খবর প্রকাশ হচ্ছে তা এর প্রমাণের সঠিক প্রতিফলন নয়।”
ক্রোপলাইফ আমেরিকার জ্যেষ্ঠ পরিচালক রয় মেকএলিসটার বলেন, কীটনাশকের অতি অল্প পরিমাণই বীজের মধ্যে ব্যবহার হয় যতটুকু এর প্রয়োজন। পতঙ্গ-বিজ্ঞানী কিমবারলি স্টোনার এবং কানেকটিকাট এগ্রিকালচার স্টেশনে সহকর্মীদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণায় লাউজাতীয় সবজির পরাগে এবং ফুলের মধুতে সরাসরি কীটনাশক প্রয়োগ করে imidacloprid এবং thiamethoxam এই দুই প্রকার Neonicotinoids পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক নিরীক্ষায় পরিবেশ রসায়নবিদদের দ্বারা প্রকাশিত গবেষণায় নদী এবং জলধারায় Neonicotinoids এর উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। ওয়াশিংটন রাজ্যের বেনব্রুক এবং সহকর্মী দ্বারা সংগ্রহীত তথ্যে বিভিন্ন খাবারে এর কিছু দেখা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতিতে ফ্রেজিয়ার বলেন, “সাম্প্রতিক ঋতুতে মৌমাছির ঘাটতি দেখা দিতে যাচ্ছে, তারা প্রতিস্থাপনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই আগামী বছরগুলোর জন্য অনেক বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে আমরা কি ফিরে আসতে না পারার পর্যায়ে চলে গিয়েছি? সেটার উত্তর এখনও অজানা।”
বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন ইউটিউবে। লিংক:
১. টেলিভিশনঃ তখন ও এখন
২. স্পেস এক্সের মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা
3. মাইক্রোস্কোপের নিচের দুনিয়া