পৃথিবীর ভূ-ভাগে বিদ্যমান গাছ, ঝোপ ইত্যাদি উদ্ভিদ উল্লেখযোগ্য পরিমান পানির শোষণ না বাড়িয়েই আগের তুলনায় বেশী কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের একটি দল এমন দাবী করেছেন যা সঠিক হলে জলবায়ু পরিবর্তন অনুধাবন এবং নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জত হতে পারে।
বিষুবীয় অঞ্চলের জঙ্গল, উত্তরাঞ্চলের পাইনজাতীয় বন এবং অন্যান্য উদ্ভিদ ত্রিশ বছর আগের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশী কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করছে। এর ফলে ভুভাগের উদ্ভিদ কর্তক বায়ুমন্ডলের ৩০ শতাংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষিত হচ্ছে এবং বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইড নিরসনে এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রখ্যাত জার্নাল ন্যাচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, মহাসমুদ্রগুলোর মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডের আরো ২৫ শতাংশ শোষিত হয়।
এটি মোটেও বিস্ময়কর নয় যে, বায়ুমন্ডলে বর্ধিত কার্বন ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতিতে উদ্ভিদ এর শোষন বাড়িয়ে দেবে। স্বাভাবিক প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ এবং অন্যান্য অক্সিজেন গ্রহণকারী উদ্ভিদ নিঃশ্বাসের সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে অপর দিকে উদ্ভিদ এটি গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। তবে সম্প্রতি যেহেতু বায়ুমান্ডলে মাত্রাতিরিক্ত হারে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে তাই উদ্ভিদকুলও এটি অধিকহারে আত্মীকরণ করছে।
এই গবেষণার সহ-গবেষক পেপ কেনাডেল এক বিবৃতিতে বলেন, “যে অতিরিক্ত পরিমান কার্বন উদ্ভিদে প্রবেশ করছে তা এর শ্বসনের সময় বায়ুমন্ডলে না বেরিয়ে গাছের মধ্যেই থাকছে এবং গাছের মৃত্যুর ও পচনের সাথে সাথে মাটিতে যুক্ত হচ্ছে।” কেনাডেল এবং তাঁর সহগবেষকবৃন্দ দেখিয়েছেন, গাছেরা অধিকমাত্রায় কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষনে দক্ষ হয়ে উঠছে অথচ পত্ররন্ধ নিয়ন্ত্রনের মাধমে পানি গ্রহণের পরিমান সীমিতই রাখছে।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক
Valo laglo pore…..!!!!
Eta amader jonno sukhobor