বালি মূলতঃ কোয়ার্টজ, যা সিলাকার একটি রূপ। এটি একই সাথে কাচের মূল উপাদান। যখন অতিউষ্ণ বজ্র বালুময় সৈকত ইত্যাদিতে আঘাত করে এটি বালিকে গলিয়ে ফেলে কাচে পারিণত করতে পারে। এ ধরনের অতিউষ্ণ বর্জে ১৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারচেয়েও বেশী তাপমাত্রা তৈরি হতে পারে।
যে স্হানে বিদ্যুৎ চমকায় সেটা খুঁজে বের করে মাটি খুঁড়ে এধরনের বজ্র উৎপন্ন কাচ বের করে নেওয়া যেতে পারে। এগুলো দেখতে বেশ শৈল্পিক হতে পারে। এই প্রাকৃতিক কাচের একটি নামও আছে। এর নাম ফালগুরাইট (fulgurite)। দেখতে এগুলো পাথরের মতো এবং ভঙ্গুর।
তবে শিরোনামেই যেমন বলা হয়েছে, এধরনের ফালগুরাইট বেশ বিরল এবং যদি কেউ সংগ্রহ করতে চায় তাহলে অত্যন্ত সতর্ক থাকবে হবে, কেননা এগুলো বেশ ভঙ্গুর।
ফালগুরাইট নানা বর্ণের হতে পারে। যেটা নির্ভর করে সিলিকার বিশুদ্ধতা এবং এতে বিদ্যমান অন্যান্য অপদ্রব্যের উপর। এটি হতে পারে কালো বা বাদমী হতে সবুজ, নীল, নীলাভ ধূষর কিংবা উজ্জল সাদা। অনেক সময় কৃত্রিমভাবেও এগুলোতে বর্ণ আরোপ করা হয়।
ফালগুরাইটের ব্যস ১০ সেন্টিমিটারের বেশী হতে পারে এবং ভুমির অনেক গভীরে প্রোথিত থাকতে পারে। ভুমির ১৫ মিটার গভীরেও ফালগুরাইট পাওয়া গেছে। আধুনিক সময়ে প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় খন্ডটির দৈর্ঘ্য ৪.৯ মিটার যা দক্ষিন ফ্লোরিডা হতে উদ্ধার করা হয়।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক