বায়ুদূষনের কথা মাথায় আসলে অধিকাংশেরই কল্পনায় উন্নয়নশীল দেশের কিছু শহর যেমন: বেইজিং বা দিল্লীর কথা চলে আসে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের শহরগুলোকে ধোঁযাশা মোকাবেলায় এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি প্যারিস দশক ব্যাপী এই ধরনের ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতিতে ভুগছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় শহর কর্তৃপক্ষ সবগণপরিবহনে দ্বিতীয় দিনের মতো বিনামূল্যে চড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে আশা করা হচ্ছে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরিমান হ্রাস এবং সেই হেতু দূষনের পরিমান হ্রাস পাবে। সাথে বৈদ্যুতিক গাড়ি ইত্যাদিও যথেচ্ছা ব্যবহার করা যাবে। আর পেট্রোলিয়াম চালিত ব্যক্তিগত বাহনের ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যে কেবল অর্ধেক সংখ্যক গাড়িই একই দিনে শহরের প্রাণকেন্দ্রের রাস্তায় চলতে পারবে।
একদিন জোড়সংখ্যার নম্বরযুক্ত গাড়ি চললে তার পরের দিন বিজোড় সংখ্যার গাড়ি চলতে পারবে। কেউ অন্যথা করলে ৩৫ ইউরো জরিমানা গুণতে হবে। প্রথমদিনেই মোট ১৭০০ টি জরিমানার ঘটনা ঘটেছে।
এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এমন সময়ে এলো যখন যখন শহরের মেয়র অন্য আরো তিনটি শহরের সাথে মিলে ২০২৫ সাল নাগাদ সেসব শহরে ডিজেলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। প্যারিসের মেয়র অানা হিডালগো বলেন, “বর্তমানে আমরা বায়ু দূষন এবং এর ফলে জনস্বাস্থ্যের হুমকী সহ্য না করার জন্য আন্দোলনে নামছি যেটা আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের জন্য মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বায়ু দূষণের মতো বড় সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন সাহসী পদক্ষেপ এবং এর জন্য আমরা গাড়ি এবং বাস নির্মাতাদের অংশ নেওয়ার জন্যও আহবান জানাই।”
শহরের বায়ুপ্রবাহহীন বর্তমান অবস্থাও এর ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতির জন্য ব্যপকভাবে দায়ী।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক