নতুন একটি গবেষনায় দেখা গেছে চোখের দৃষ্টির ত্রুটি দূর করার জন্য করা ল্যাসিক (LASIK) সার্জারির পর উল্লেখযোগ্য পরিমান ব্যক্তি চোখের নানাবিধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন। গবেষকগণ দেখেছেন ল্যাসিক করার তিন মাস পর ৪০ শতাংশের বেশী মানুষ নতুন ধরনের চোখের সমস্যার কথা যেমন: কোন বস্তুর চারপাশে আলোর আভা দেখা ইত্যাদি জানিয়েছেন যা সার্জারির আগে তাঁরা অনুভব করেন নি।
দুই দিন আগে Food and Drug Administration জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষনায় গবেষকগণ উল্লেখ করেছেন, “আমাদের জানা মতে আমাদের গবেষনাটি সেই অল্প সংখ্যক গবেষনাগুলোর একটি যাতে চোখের সমস্যার নতুন এই উপসর্গগুলো উঠে এসেছে।”
এই গবেষণায় গবেষকগণ মানুষের দুটি দল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন যাঁরা সর্বোচ্চ ছয়মাস আগে চোখের সার্জারি করিয়েছেন। প্রথম দলে ছিলেন সক্রিয়ভাবে কর্মরত নৌবাহিনীর ২৬২ জন সদস্য যাঁদের গড় বয়স ২৯ বছর এবং দ্বিতীয় দলে ৩১২ জন বেসামরিক লোক, গড়ে যাঁদের বয়স ৩২ বছর।
সার্জারির আগে এঁদের প্রত্যেককে একটি অনলাইন জরিপে অংশ নিতে দেওয়া হয়। সার্জারির কিছুদিন পরেও একই কাজ করতে দেওয়া হয়। এই জরিপের মধ্যে ছিলো সার্জারির পরে তাঁরা তাঁদের দৃষ্টি নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট এবং তাঁরা চোখে নতুন কোনো লক্ষণ যেমন: বস্তুর চারপাশে গোল আভা, ফুলকি, দ্বৈত-বিম্ব ইত্যাদি অনুভব করছেন কিনা।
ল্যাসিক সার্জারিতে ডাক্তারগণ চোখের কর্ণিয়াতে কিংবা সর্ববহিঃস্থ স্তরে সামান্য কেটে নেন। অতপরঃ তাঁরা লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করে কর্ণিয়ার কিছু টিস্যু নষ্ট করেন এবং নতুন আকৃতি দেন যেন ব্যক্তির দৃষ্টির উন্নতি হয়। গবেষকদল দেখেছেন এর ফলে সার্বিকভাবে মানুষের দৃষ্টি উন্নত হয়। তবে নৌবাহিনীর ৪৩ শতাংশ এবং বেসামরিক ৪৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁরা তিন মাসের মধ্যে পূর্বে উল্লেখিত নতুন ধরনের উপসর্গ অনুভব করছেন।
তবে অধিকাংশ মানুষই সার্জারির পরে পূর্বের তুলনায় তাঁদের দৃষ্টি নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। অর্থাৎ, চোখে কিছু উপসর্গ দেখা দিলেও তাঁদের দুষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটেছে। শুধু উভয় দলের ১ থেকে ৪ শতাংশ মানুষ সার্জারির পর তাঁদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। [Livescience অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক