অ্যান্টার্কটিকার উপরের ওজোন স্তরের প্রায় চার মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার ক্ষয় পূরণ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে এমআইআইটির বিজ্ঞানীরা। এটি প্রমাণ করে, ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিল চুক্তির পর থেকে সিএফসির ব্যবহার বর্জন করা ইতিবাচক ফল দিতে শুরু করেছে। ইতিপূর্বে বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে প্রথম যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপন করেছিলেন।
ওজোন স্তর উচ্চস্তরের আল্ট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করে। ১৯৪৭ সালের মন্ট্রিল চুক্তি এই ওজোন স্তরকে রক্ষার জন্য ওজোন স্তর ক্ষয়কারী উপাদানসমূহ উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সারা পৃথিবীকে আহ্বান জানায়।
এমআইআইটির গবেষক দলের প্রধান সুসান সলমন বলেছেন, “এখন আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী হতে পারি যে আমরা যা করেছি তা আমাদের গ্রহকে রক্ষা করার পথে নিয়ে গেছে”। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার ওজোন স্তরের ক্ষয় পূরণ হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের থেকে উৎপন্ন সালফার-ডাই-অক্সাইডের দ্বারা কিছু বিপত্তি সত্ত্বেও ওজোন স্তরের ক্ষয় পূরণের চেষ্টা আকাঙ্খিত ফল দিতে শুরু করেছে। ২০১৫ সালে ওজোন স্তরের ছিদ্র এত বড় আকার ধারণ করেছিল যে বিজ্ঞানীরা প্রায় হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিলেন।
গবেষক দল উল্লেখযোগ্যভাবে ক্লোরোফ্লোরোকার্বনের বায়ুমণ্ডলীয় ক্লোরিন কমতে দেখলেন যা ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী। এই উপাদান নির্গত হয় ড্রাই-ওয়াশ, রেফ্রিজারেন্ট এবং অ্যারোসল থেকে। গবেষক দলের এক সদস্য ডিয়ান আইভি বলেন, “মূলত আমরা একটি রাসায়নিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেখতে পাই যা ক্লোরিনের স্তরে খুবই সংবেদী এবং পরিশেষে তা ক্ষয়পূরণের লক্ষণ”।
“এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সারা পৃথিবী এক হলে আমরা নিশ্চিতভাবে পরিবেশগত সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমি মনে করি এমন একটি সফল ভালো কাজের জন্য আমাদের সবারই নিজেদেরকে অভিনন্দন জানানো উচিৎ”, বলেন সুসান সলমন।
ওজোন স্তরের ক্ষয় পূরণের ধারা এভাবেই চলতে থাকলে আনুমানিক ২০৫০ সালের মধ্যে ওজোন স্তরের ছিদ্রটি সম্পূর্ণ এবং স্থায়ীভাবে পূরণ হবে।
-হাসনাইন তোহা