কালের সংক্ষিপ্ততর ইতিহাস (A Briefer History of Time): পর্ব-১২

0
609

[সব পর্বের তালিকা ও লিংক পাবেন এখানে]

দ্বাদশ অধ্যায়ঃ উপসংহার

আমরা যে জগতে বাস করছি তা আসলে বড়ই অদ্ভুত। আমরা চারপাশে যা ঘটতে দেখছি তার ব্যাখ্যা জানার জন্যে উদগ্রীব। মহাবিশ্বের স্বভাব কেমন? এতে আমাদের অবস্থান কোথায়? মহাবিশ্ব এবং আমরা কোথা থেকে এলাম? আমরা যেমন দেখছি, সব কিছু কেনইবা এমন হল?

এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আমরা জগত সম্পর্কে কিছু ধারণা তৈরি করি। সমতল একটি পৃথিবীকে বহু সংখ্যক কাছিমের টাওয়ারের মাথায় অবস্থিত বলে ধরে নেওয়াও এমন একটি ধারণা। আবার সুপারস্ট্রিং থিওরিও একটি ধারণা। দুটি থিওরিরই উদ্দেশ্য মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করা। কিন্তু আগেরটির চেয়ে পরেরটি অনেক বেশি গণিত নির্ভর এবং বেশি সূক্ষ্ম। কোনোটির পক্ষেই নেই পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণ। কেউ কখনো এমন কোনো দৈত্যাকার কাছিমকে দেখেনি, যে তার পিঠে পৃথিবীকে পিঠে বসিয়ে রেখেছে। আবার কেউ কিন্তু কখনও সুপারস্ট্রিংও দেখেনি। কিন্তু কাছিম তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে কার্যকর নয়,কারণ এটি সঠিক হলে মানুষ পৃথিবীর প্রান্তে গিয়ে নিচে পড়ে যেত। আমাদের প্রাত্যাহিক অভিজ্ঞতা থেকে এমন কিছু দেখা যায় না, যদি না বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে হারিয়ে যাওয়া মানুষের ভাগ্যে এমনটি ঘটে থাকে!

মহাবিশ্বের ব্যাখ্যায় সর্বপ্রথম যে তত্ত্বটি দাঁড় করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল বিভিন্ন প্রাকৃতকি ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে আত্মারা। এদের মধ্যে মানুষের মতো আবেগ আছে। এরা মানুষের স্টাইলেই কাজ করে, কিন্তু কখন যে কী করবে সেটা আগে থেকে বলা যায় না। এই আত্মাদের বাস বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তুতে। এই যেমন নদী, পাহাড় এবং সূর্য ও চন্দ্রসহ আকাশের বস্তুরা। কৃষি জমির উর্বরতা ও ঋতুর পরিবর্তনের জন্যে এই আত্মাদেরকে শান্ত রাখতে হত এবং প্রার্থনা করতে হত। আস্তে আস্তে দেখা গেল, সব কিছু নিয়ম মেনেই চলছে। দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ না করলেও সূর্য সব সময় পূব দিকেই উঠছে এবং পশ্চিমে ডুবে যাচ্ছে। এছাড়াও সূর্য, চন্দ্র এবং গ্রহরা আকাশের নির্দিষ্ট পথ ধরে চলছে। আকাশের এসব ঘটনা আবার অনেকটা নির্ভুলভাবে আগে থেকেই বলা যায়। সূর্য ও চন্দ্র যদি দেবতাও হয় তবু তারা এমন দেবতা, যারা কিছু নিয়ম খুব শক্তভাবে মেনে চলে। এতে কোনো দৃশ্যমান ব্যতিক্রম চোখে পড়ছিল না, যদিও সূর্যের থেমে যাবার একটি ব্যতিক্রম গল্প দেখা যায় বাইবেলের জোশুয়ার গল্পে।

 

চিত্রঃ কাছিম থেকে বক্র স্থান।[মহাবিশ্বের প্রাচীন ও আধুনিক ধারণা]
 এই নিয়ম ও সূত্রগুলো শুরুতে শুধু জ্যোতির্বিদ্যা ও এর বাইরের অল্প কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্ট ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সভ্যতার উন্নতি হলে, বিশেষ করে গত তিন শতকে যে উন্নতি হল, তাতে আরো বেশি সূত্র আবিষ্কৃত হল। এই সূত্রগুলোর সাফল্যে মুগ্ধ হয়েই ঊনবিংশ শতকের শুরুতে ল্যাপ্লাস বৈজ্ঞানিক নিশ্চয়তাবাদ (scientific determinism) প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি বললেন যে এমন কিছু সূত্র থাকবে, যা দ্বারা কোনো এক সময়ের মহাবিশ্বের অবস্থা জেনে ফেলার পর সঠিকভাবে এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করা যাবে।

ল্যাপ্লাসের নিশ্চয়তাবাদ দুইটি কারণে অসম্পূর্ণ ছিল। প্রথমত, এতে বলা ছিল না যে সূত্রগুলো কীভাবে বাছাই করা হবে। দ্বিতীয়ত, এটি মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। কাজগুলো রেখে দেওয়া হয়েছিল ঈশ্বরের জন্যে। ঈশ্বরই ঠিক করবেন কীভাবে মহাবিশ্বের শুরু হবে এবং একে কোন সূত্রগুলো মেনে চলতে হবে। একবার মহাবিশ্বের শুরু হয়ে গেলে ঈশ্বর আর এই সূত্রগুলোতে নাক গলাবেন না। সত্যি বলতে, ঊনবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান যা বুঝতে পারেনি তা ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

আমরা এখন জানি যে বাস্তবে ল্যাপ্লাসের নিশ্চয়তাবাদ সম্ভব নয়, অন্তত তিনি যে ভাষায় বুঝতেন সেই অর্থেতো নয়ই। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনিশ্চয়তা নীতি বলছে, কিছু যুগপৎ রাশি যেমন, অবস্থান ও বেগ, একই সাথে পুরোপুরি নির্ভলভাবে জানা সম্ভব নয়। এই পরিস্থতিতে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এক গুচ্ছ কোয়ান্টাম সূত্র দিয়ে কাজ করে, যাতে কণিকাদের সুনির্দিষ্ট কোনো অবস্থান ও বেগ থাকে না। বরং এদেরকে বিবেচনা করা হয় তরঙ্গ হিসেবে। এই কোয়ান্টাম থিওরিগুলো এই অর্থে ‘পূর্বনির্ধারিত’ যে এদের মাধ্যমে সময়ের সাথে সাথে তরঙ্গের পরিবর্তন জানা যায়। কাজেই, আমরা কোনো এক সময়ে তরঙ্গের অবস্থা জেনে নিয়ে অন্য সময়ে এর অবস্থা বের করতে পারি। অনুমানের অতীত এবং অনিয়মতান্ত্রিক ঘটনা তখনই ঘটে যখন আমরা তরঙ্গকে কণার অবস্থান ও বেগের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করি। কিন্তু হতে পারে আমরা ভুল করছি। হয়ত কণিকাদের কোনো বেগ বা অবস্থান নেই, আছে শুধুই তরঙ্গ। হয়ত আমরা আমাদের মনে আসন গেঁড়ে থাকা অবস্থান ও বেগের পূর্বধারণা দিয়ে তরঙ্গকে বুঝতে চাচ্ছি। এতে করে বাস্তবতার সাথে যে অমিল তৈরি হয় তার ফলেই আমরা অননুমেয়তার (unpredictability) সম্মুখীন হই।

ফলে আমরা বিজ্ঞানের দায়িত্ব কী হবে তা নতুন করে ঠিক করেছি। এর কাজ হবে অনিশ্চয়তা নীতির সীমার মধ্যে থেকেই কোনো ঘটনা সম্পর্কে অনুমান করতে পারার মতো সূত্র আবিষ্কার করা। প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে: কীভাবে ও কেন মহাবিশ্বের সূত্রগুলো এবং আদি অবস্থা বাছাই করা হয়েছিল?

এই বইয়ে মহাকর্ষ সূত্রের দিকে একটু বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর কারণ, এই মহাকর্ষই মহাবিশ্বের বড় স্কেলের কাঠামো নির্ধারণ করে, যদিও চার প্রকারের বলের মধ্যে এটিই সবচেয়ে দুর্বল। কিছু দিন আগ পর্যন্তও যে অপরিবর্তনশীল মহাবিশ্বের ধারণা প্রচলিত ছিল, তা মহাকর্ষীয় সূত্রের সাথে খাপ খাচ্ছিল না। যেহেতু মহাকর্ষ সব সময় আকর্ষণ করে, তাই মহাবিশ্ব হয় প্রসারিত নয়ত সঙ্কুচিত হতে থাকবে। সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে অসীম ঘনত্বের একটি পরিবেশ নিশ্চয়ই ছিল। এখান থেকে বিগ ব্যাঙ এর মাধ্যমে সময়ের শুরু। একইভাবে মহাবিশ্ব গুটিয়ে গেলে ভবিষ্যতে আবারো অসীম ঘনত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে সময় বিলুপ্ত হবে। এই ঘটনাকে বলা হয় বিগ ক্রাঞ্চ (big crunch) বা মহা ধ্স। যদি মহাবিশ্বের পুরোটা নাও গুটিয়ে যায়, তবু নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল গুটিয়ে ব্ল্যাক হোল তৈরির মাধ্যমে সিঙ্গুলারিটি তৈরি হবে। বিগ ব্যাং ও অন্যান্য সিঙ্গুলারিটিগুলোতে সবগুলো সূত্র অকার্যকর হয়ে পড়বে। ফলে মহাবিশ্বের শুরু কীভাবে হবে বা কী ঘটবে তাতে ঈশ্বরের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।

আমরা কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে সার্বিক আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে মিশ্রিত করলে নতুন একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা আগে ছিল না। স্থান ও কাল মিলিত হয়ে হয়ত এমন একটি সসীম ও চতুর্মাত্রিক স্থান তৈরি হতে পারে, যাতে কোনো সিঙ্গুলারিটি বা সীমান্ত নেই। এটা হবে পৃথিবীর পৃষ্ঠের মতো, তবে মাত্রা হবে আরো বেশি। দেখা যাচ্ছে এই পদ্ধতিতে মহাবিশ্বের অনেগুলো পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব। যেমন গ্যলাক্সি, নক্ষত্র এবং মানুষ ইত্যাদিসহ বড়ো দৈর্ঘ্যের হিসাবে মহাবিশ্ব সব দিকে একই রকম দেখায় কেন এবং ছোট স্কেলে কেন এটি এই বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলে।  কিন্তু মহাবিশ্ব যদি হয় স্বয়ংসম্পূর্ণ (self- contained), যেখানে কোনো সিঙ্গুলারিটি বা সীমান্ত (প্রান্ত) থাকবে না এবং যাকে একটি একীভূত থিওরি দ্বারা ব্যাখ্যা করা যাবে, তাতে স্রষ্টা হিসেবে ঈশ্বরের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষ।

আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, ‘মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় ঈশ্বরের স্বাধীনতা কতটুকু ছিল?’যদি স্ট্রিং থিওরির ভাষ্য সঠিক হয় এবং আসলেই প্রান্ত না থাকে তাহলে আদি অবস্থা বাছাই করার ক্ষেত্রে করতে ঈশ্বর স্বাধীন ছিলেন না। এরপরেও অবশ্য ঈশ্বর নিজের ইচ্ছেমতো মহাবিশ্বের জন্যে সূত্রগুলো তৈরি করার স্বাধীনতা রাখেন। অবশ্য এই স্বাধীনতা হয়ত খুব বেশি ছিল না। হতে পারে মাত্র একটি অথবা স্ট্রিং থিওরির মতো অল্প কিছু সংখ্যক পূর্ণাঙ্গ একীভূত তত্ত্ব আছে, যেগুলো সুসঙ্গত এবং মানুষের মতো জটিল প্রাণীর সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করে, যারা মহাবিশ্বের সূত্রগুলো নিয়ে গবেষণা করে এবং ঈশ্বর সম্পর্কে প্রশ্ন করে।

আর যদি মাত্র একটি সম্ভাব্য একীভূত তত্ত্বই থেকে থাকে, তবে তাও হবে কিছু নিয়ম ও সমীকরণের সমাবেশ। সেই সমীকরণগুলোকে বাস্তবে নিয়ে এসে তাদেরকে মেনে চলার মতো মহাবিশ্ব কে তৈরি করবে। গাণিতিক মডেল তৈরির প্রচলিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ব্যর্থ যে কেন কোনো একটি মডেলকে মেনে চলার মতো একটি মহাবিশ্ব থাকবে। মহাবিশ্বের অস্তিত্ত্বই থাকবে কেন? একীভূত তত্ত্ব কি এতটা শক্তিশালী যে এটি নিজেই নিজেকে তৈরি করে। অথবা এর কি স্রষ্টার প্রয়োজন আছে এবং যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে মহাবিশ্বের উপর কি তাঁর অন্য কোনো প্রভাব আছে? এবং তাহলে তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?

এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ বিজ্ঞানী মহাবিশ্বের ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম এমন নতুন তত্ত্ব তৈরি করতে গিয়ে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে এই কেন জাতীয় প্রশ্নগুলো করার সময় তাঁদের হয় না। অন্য দিকে এই কেন জাতীয় প্রশ্ন করার কাজ যারা করেন, সেই দার্শনিকরা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেননি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দার্শনিকরা বিজ্ঞানসহ জ্ঞানের পুরো ক্ষেত্রকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করতেন। মহাবিশ্বের শুরু আছে কি নেই- এই জাতীয় প্রশ্নগুলো করতেন। কিন্তু ঊনিশ ও বিশ শতকে এসে বিজ্ঞান এতটা টেকনিক্যাল ও গণিত নির্ভর  হয়ে পড়েছে যে অল্প কিছু বিশেষজ্ঞ ছাড়া দার্শনিক বা অন্য কারো পক্ষে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। দার্শনিকরা তাঁদের প্রশ্নের জগতকে এতটা সীমিত করে ফেলেছেন যে বিংশ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত দার্শনিক ভিটজেনস্টাইন বলেছিলেন, ‘দার্শনিকদের জন্যে ভাষা নিয়ে গবেষণা করা ছাড়া আর কিছুই বাকি রইল না।‘ দর্শনের ঐতিহ্য এরিস্টটলের থেকে কান্ট পর্যন্ত এসে এভাবেই মুখ থুবড়ে পড়ল!

যদি আমরা একটি একীভূত তত্ত্ব আবিষ্কার করতে পারি, তবে সেটা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝার উপযোগী হতে হবে, শুধু কিছু বিজ্ঞানীকে বুঝলেই চলবে না। তখন বিজ্ঞানী, দার্শনিক এবং সাধারণ মানুষ- সবাই মহাবিশ্বের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন। আমরা যদি এই উত্তর পাই, তবেই তা হবে মানুষের বুদ্ধির জগতের চূড়ান্ত বিজয়, কারণ তখনই আমরা ঈশ্বরের মন (mind of God) জানতে পারব।

[অনুবাদকের নোটঃ

১। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অধিকাংশ রহস্যই আসলে রহস্য না। এখানে যে পরিমাণ দূর্ঘটান ঘটেছে তা এত বেশি হারে জাহাজ বা বিমান চলাচল করা একটি এলাকার জন্যে খুবই স্বাভাবিক। ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচার নৌযান চলাচলের জন্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রধান দশটি জলপথের তালিকা তৈরি করে। এই তালিকায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের স্থান হয়নি। আমেরিকান নেভির মতে এমন কোনো অঞ্চলের বাস্তবে অস্তিত্বই নেই। এমন না যে লেখকদ্বয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে বিশ্বাসী, বরং তাঁরা একটুখানি রসিকতা করার লোভ সামলাতে পারেননি।

২। অর্থ্যাৎ, এমন কোনো অংশ নেই যাতে অন্য কোনো অংশের সাথে অমিল আছে।

৩। অর্থ্যাৎ একবার সৃষ্টি করে ফেলার পর পরে আর মহাবিশ্বে হস্তক্ষেপ করেন কি না।

৪। অনেক সময় এই সমস্যার জবাব দেওয়া হয় এভাবে যে সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞাই হল, তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেনি। যেমন একজন চিত্রকর (painter) একটি ছবি আকঁল। ছবি সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় যে একে কে এঁকেছে। কিন্তু চিত্রকর সম্পর্কে বলা যায় না যে বা চিত্রকরকে কে এঁকেছে? চিত্রকরের জন্যে ‘আঁকা’ শব্দটা প্রযোজ্য নাও হতে পারে। ]

[সব পর্বের তালিকা ও লিংক পাবেন এখানে]

মূলঃ Stephen Hawking এবং Leonard Mlodinow
অনুবাদঃ আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ
শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[লেখকের ফেসবুক প্রোফাইল]

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.