মঙ্গলের নুড়ি-পাথরের ফাঁকে মোর্স কোড!

0
454

নাসা মঙ্গলের মাটিতে নুড়ি-পাথরের মাঝে বেশ কিছু বিন্দু এবং লাইনের সমষ্টি খুঁজে পেয়েছে যা পৃথিবীতে প্রচলিত মোর্স কোডের মতোই দেখায়। যদিও গবেষকগণ এর আগেও নুড়ি-পাথরের মাঝে এধরনের প্যাটার্ন খুঁজে পেয়েছিলেন তবে মঙ্গলের উত্তর মেরুবিন্দুর ঠিক দক্ষিনেই বিশেষ ধরনের ভুমিগঠনের কারণে এগুলো আরো স্পষ্ট এবং নিখুঁত দেখা যায় এবং প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা এগুলোর ‘পাঠোদ্ধার’ও করতে পারেন।

সুস্পষ্টভাবে বললে, এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই গঠিত- পৃথিবীতে যেমন বাতাসের প্রবাহের দিক বরাবর ধূলোবালি ইত্যাদি সজ্জিত হয় এগুলোও তেমনই। শপথ করে বলা যায় এর সাথে কোনো ধরনের মহাজাগতিক প্রানীর যোগসাজস নেই।

নাসাকর্তৃক প্রেরিত একটি প্রেস রিলিজে কিভাবে এধরনের প্যাটার্ন তৈরি হতে পারে তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এত ঝকঝকে অবস্থায় এই প্যাটার্ন বিদ্যমান থাকার কারণ এগুলো একটি বৃত্তাকার নিন্মভুমি অঞ্চলে অবস্থিত যার ফলে স্থানীয় বায়ুপ্রবাহে এঅঞ্চলে ধুলো-বালি বেশী ছড়িয়ে যেতে পারে না। লম্বা দাগগুলো তৈরি হয় দ্বি-পার্শ্বীয় বায়ু প্রবাহে ফলে। সময়ের সাথে বাতাস যেকোনো দিক থেকে এসে ধুলোবালিসমূহকে লম্বা অন্ধকারাচ্ছন্ন রেখায় সজ্জিত করে, যা নিচের খুব কাছ থেকে তোলা ছবি থেকে বোঝা যাবে। অপর দিকে উৎপন্ন বিন্দুগুলো অপেক্ষাকৃত রহস্যাবৃত।

esp_044675_2580

ভুপদার্থবিদগণ ধারনা করেন লম্বা রেখাগুলো তৈরি হওয়ার সময় যখন কোনো কিছুর কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন এগুলো তৈরি হয়। কিন্তু নাসা নিশ্চিত নয় এই বস্তুগুলো আসলে কী এবং এই কারণে এই অঞ্চলে বিস্তারিত ভাবে ছবি তোলা হচ্ছে। এই ছবিগুলো মঙ্গলকে প্রদক্ষিণরত Mars Reconnaissance Orbiter এ স্থাপিত উচ্চক্ষমতার ক্যামেরা ব্যবহার করে তোলা। আরো অধিকমাত্রায় পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে ভু-পদার্থবিদগণ আশা করছেন এবস্তুগুলো কিভাবে গঠিত হয় তার পুরোপুরি রহস্য উন্মোচন করতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.