বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো একটি উল্কাপিন্ডে সম্পূর্ণ প্রোটিন অণু খুঁজে পেয়েছেন এবং এটি পৃথিবীসৃষ্ট নয় বলেও তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। Acfer086 নামের উল্কাপিন্ডটির নমুনা বিশ্লেষণের পর বিজ্ঞানীরা দেখেছেন প্রোটিনের গাঠনিক এককগুলো পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রোটিনের গাঠনিক একক হতে ভিন্ন। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুটি কোম্পানী প্লেক্স কর্পোরেশন এবং ব্রুকার সায়েন্টিফিকের একদল বিজ্ঞানীর যৌথগবেষনায় এই প্রোটিন আবিষ্কৃত হয়।
প্রোটিন একধরণের জৈব অণু এবং এ্যামিনো এসিড নামের গাঠনিক এককের মাধ্যমে তৈরি হয়। পৃথিবীতে ২০ ধরনের এ্যামিনো এসিড রয়েছে। এগুলোর নানাবিধ বিন্যাসের মাধ্যমেই এই পৃথিবীর সকল জীবের সকল প্রোটিন তৈরি হয়। একটি জীবকোষের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজ প্রোটিনের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকবছর আগে মহাশূন্যে প্রোটিনের গাঠনিক একক এ্যামিনো এসিড আবিষ্কার করেছিলেন।
যদিও প্রথমবার এ্যামিনো এসিড আবিস্কৃত হওয়ার পর বিভিন্ন সময় এ্যামিনো এসিডের সমন্বিত চেইন আবিষ্কৃত হয়ে আসছে তবে এগুলোর কোনোটিই প্রোটিন হিসেবে গণ্য হওয়ার মতো যথেষ্ট বড় বা শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিলো না। এই প্রথম গবেষকগণ মহাশূন্য হতে আগত একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোটিনরূপী অণু খুঁজে পেলেন। এই বিষয়ক গবেষণা পত্রটি এখনো প্রকাশিত হয়নি বরং রিভিউ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তবে গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, এতে দাবী করা হয়েছে উল্কাপিন্ডের সংঘর্ষ পৃথিবীতে প্রাণসৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান থাকতে পারে। অবশ্য এই আবিষ্কারের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না সত্যিই মহবিশ্বের অন্যত্র প্রাণের উপস্থিতি রয়েছে কিনা। বিজ্ঞানী কেবল আস্থাশীল যে এই প্রোটিনটি পৃথিবীতে তৈরি হয়নি। [futurism.com অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক