প্লাস্টিকখেকো ব্যাক্টেরিয়া থেকে শুরু করে তেলখোর ব্যক্টেরিয়ার নমুনা আমরা দেখেছি। মাতৃসম ধরিত্রি যেন নিজ উদ্যোগে পরিবেশ পরিশোধনের দায়িত্ব নিয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পানি হতে আর্সেনিক দূরকরার মাধ্যমে পরিশোধনে সক্ষম এক প্রজাতির মস আবিষ্কার করেছেন। এর মাধ্যমে আর্সেনিকদুষনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ তৈরি করা যাবে বলে আশা করা যায়।
Warnstofia fuitans নামের এই মস প্রজাতি সুইডেনের স্থানীয় জলজ মস। এখানকারই স্টোকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ এই মস ব্যবহার করে পানি হতে ৮২ শতাংশ আর্সেনিক দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। এই পদ্ধতির নাম ফাইটোফিল্ট্রেশন, যা উদ্ভিদের পানি হতে ভারী মৌল দূরীকরণের একধরনের সক্ষমতা।
গবেষণা সহকারী আরিফিন সন্ধি এই প্রসঙ্গে বলেন”আমাদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে পানি থেকে আর্সেনিক দূরীকরণে মসের উচ্চ ধারণক্ষমতা রয়েছে।” এই প্রক্রিয়ায় আর্সেনিক দূরীকরণে ঘন্টাখানেক সময় লাগে। সন্ধির বিবৃতি অনুযায়ী এইটুকু সময় পানি হয়ে আর্সেনাইট এবং আর্সেনেট দূর করে এর ক্ষতিকর প্রভাব নিষ্ক্রিয় করার জন্য যথেষ্ট।
গবেষক দলটি এই পদ্ধতিকে “পরিবেশবান্ধব আর্সেনিকদূরীকরণ পদ্ধতি” বলছেন এবং উল্লেখ করছেন এই মস যেকোনো পানির প্রবাহে জন্মানো সম্ভব যা ওই পানি হতে আর্সেনিক শুষে নেবে।
Environmental Pollution জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার গবেষকগণ একটি “উদ্ভিদ নির্ভর জলাভুমি” তৈরির চেষ্টা করছেন যেখানে পানির মধ্যে মসের চাষাবাদ করে পানিকে অর্সেনিক মুক্ত রাখা হবে। এছাড়া সেচ প্রকল্পেও মস প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে শস্য উৎপাদনের আগেই মসের মাধ্যমে আর্সেনিক দূর হবে এবং শস্যের মধ্যে আর্সেনিক পৌঁছাতে পারবে না। [IFLScience অবলম্বনে]