স্কটল্যান্ডে চালু হয়েছে বিশ্বের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটির মাধ্যমে ১০,০০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্কটল্যান্ডের ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করেছে। এটি এবারডিনশায়ারে অবস্থিত স্কটিশ শহর পিটারহেডের সমুদ্রসীমার ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
টারবাইনগুলোর উচ্চতা ২৫৩ মিটার যার মধ্যে ৭৮ মিটার পানিতে নিমজ্জিত। প্রকান্ড টারবাইনগুলো সমুদ্রের নিচে বিশাল চেইনের মাধ্যমে নোঙ্গর করে রাখা আছে। একেকটি চেইনের ওজন ১৩২৩ টন। সমগ্র স্থাপনাটি ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে যা স্থানীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। নরওয়েজিয়ান শক্তি কোম্পানী স্ট্যাটয়েল-এর ১৫ বছরব্যাপী গবেষণার ফসল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
গত কয়েকমাস ধরে স্কটল্যান্ড পরিচ্ছন্ন শক্তির উৎস নিয়ে জোরে শোরে কাজ করতে শুরু করেছে। দেশটি সম্প্রতি ২০২০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের একমাত্র বৃহৎ পরিসরের জোয়ার-ভাটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্কটল্যান্ডের উত্তর উপকূলে উৎপাদনরত রয়েছে। এই প্রকল্পটি উত্তরোত্তর বৃদ্ধির মাধ্যমে এক লাখ পচাত্তর হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্য স্থির করেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ হুমকীগুলোর একটি যার মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতি অস্তিত্বের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেতে পারে। যে পরিমান ক্ষতি ইতিমধ্যে এই পৃথিবীর উপর করা হয়েছে তা প্রশমনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। স্কটল্যান্ড সেই নীতিমালা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। [futurism অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক