ছেলেকে টিকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের এক মায়ের জেল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। রেবেকা ব্রেডোও নামের ওই নারীকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওকল্যান্ড কাউন্টির বিচারকগণ এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন সন্তানকে টিকা প্রদানের জন্য। তাঁর সময় প্রায় ফুরিয়ে এসেছে।
এই ইস্যুতে রেবেকা এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী জ্যাসন হর্ন একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর জ্যাসন হর্ন মনে করেন মৃত্যু-ঝুঁকিপূর্ণ রোগগুলোর বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে টিকা দেওয়া উচিৎ।
কিন্তু রেবেকার ধারনা বিপরীত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তিনি জেলের ভয়ে যা বিশ্বাস করেন তা ত্যাগ করবেন না। অর্থাৎ, সন্তানকে টিকা দেবেন না। উল্টো তিনি প্রশ্ন রাখেন, কেন সবাই ছেলের বাবার পক্ষ নেবে এবং মা হিসেবে তাঁর কথার কোনো মূল্য থাকবে না?
সত্যিই এই মায়ের বিশ্বাস কতটা যৌক্তিক? টিকা আসলে কতটা নিরাপদ? কোনো একটি টিকার প্রচলন ঘটানোর আগে এটিকে বারংবার গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয় এবং এরা জীবন রক্ষা করে বলেই এদের ব্যবহার করা হয়। টিকার প্রয়োগে অটিজম হয় এই ধারনা প্রতিষ্ঠার জন্য টিকা বিরোধীরা একটি গবেষণায় অর্থায়ন করে যেটি টিকা প্রয়োগের সাথে অটিজমের কোনো সম্পর্ক পায় নি।
তাছাড়া, উদাহারণ হিসেবে কেবল হামের টিকা প্রদানের মাধ্যমে সারা বিশ্বে মৃত্যুর হার ব্যপকহারে হ্রাস পেয়েছে। যেমন: ২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীতে হাম হওয়ার পরিমান ৭৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এর প্রদান কারণই টিকা।
রেবেকা ব্রেডোওকে সর্বপ্রথম সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে সন্তানকে টিকা দিতে বলা হলেও তিনি এখনো তা করেন নি। নয় বছরের ছেলেকে টিকা দেওয়ার জন্য তার হাতে আর সময় নেই বললেই চলে। [IFLScience অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক