ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক প্রবেশের ঝুঁকি অনেকটা সুপরিচিত। কিন্তু বহু পুরনো উপকথা সমাজে প্রচলিত থাকলেও তা এখন প্রায় হারিয়ে গিয়েছে, তবে একটু দেরিতে হলেও মাদক সেবনের একটি ভয়াবহ ও চূড়ান্ত সতর্কবার্তা অনলাইন জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বছর চারেক আগে একজন বেনামি ডাক্তার কিছু ছবি প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি জানান নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে একজন রোগী তাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। রোগীটি একজন দীর্ঘমেয়াদি হেরোইন ব্যবহারকারী এবং তার বুকের প্রাথমিক কিছু এক্সরে পরীক্ষায় দেখা যায় ঘাড়ের মাঝে রয়েছে গিয়েছে ডজন খানেক ভাঙ্গা সূঁচ। তখন রেডিওলজিস্টরা সেখানে কিছু ত্রিমাতৃক পরীক্ষা পরিচালনা করে কয়েকটি পরিষ্কার ছবি সংগ্রহ করেন।
ডাক্তারদের বিশ্বাস সিরিঞ্জের মাধ্যমে ঘাড়ে হেরোইন সেবন করার সাথে সাথেই তিনি অচেতন হয়ে পড়তেন এবং সিরিঞ্জ হতে সূঁচ ঘাড়ে আটকে যেত। তবে রোগীটি হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে সক্ষম হয়েছে।
খবরটির যথার্থতা যাচাই করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার, বিশেষ করে মূল একাউন্ট থেকে পরবর্তিতে পোষ্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে এরূপ ঘটনা মেডিক্যাল জার্নালে আগেও দেখা গিয়েছে। UBM Patient Care এর প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দেখানো হয়েছে কীভাবে একজন রোগী ৩০ বছর ধরে ইনজেকশনের মাধ্যমে হেরোইন সেবন করার ফলে তার ঘাড়ের নরম কোষে অন্তত ১৭টি সূঁচ ভেঙ্গে থেকে গিয়েছলো।
নিবন্ধে বলা হয়, “ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণের ফলে সূঁচ ভেঙ্গে থাকার ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ইনজেকশনে মাদক গ্রহণকরার সময় প্রায় ২০ শতাংশ সূঁচ ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে।”
[iflscienceশর-অবলম্বনে]
-শফিকুল ইসলাম