সমুদ্রের পানিকে পানযোগ্য করার সহজ প্রযুক্তি উদ্ভাবন

0
463

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গ্রাফিন অক্সাইডের তৈরি একটি ঝিল্লি নির্মান করেছেন যা সহজেই সমুদ্রের লবনাক্ত পানিকে সুপেয় পানিতে পরিণত করতে পারবে। এই প্রযুক্তি এখনো গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ কিন্তু একদিন হয়তো পৃথিবীর সুপেয় পানির উৎসের পরিসর বৃদ্ধিতে কাজে লাগবে।

পানি থেকে অবিশুদ্ধতা দূর করার জন্য গ্রাফিন অক্সাইডের ব্যবহার এবারই প্রথম নয়। অতীতে বিজ্ঞানীরা গ্রাফিনে অতি সূক্ষ এক ন্যানোমিটারের ছিদ্র তৈরি করে একে ছাঁকনী হিসেবে ব্যবহার করেছেন। গ্রাফিন হলো কার্বনের একপরমাণুর স্তর বিশিষ্ট অতি পাতলা পর্দা। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সমস্যা হলো পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় এই ছিদ্র বড় হয়ে গিয়ে পর্দার কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যেত।

কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তিতে গবেষকগণ পানি থেকে ৯৭ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইড পৃথক করতে পেরেছেন। সোডিয়াম ক্লোরাইড সামুদ্রিক লবনের মূল উপাদান। এই সাফল্যের রহস্য হলো গ্রাফিনের দুই পৃষ্টৈ ইপোক্সি রেজিন ব্যবহার করা। ইপোক্সি রেজিন পানির উপস্থিতিতে গ্রাফিনের ফুলে যাওয়া রোধ করে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘ ধারনা করছে ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছাবে না। এই সংকট মোকাবেলায় একটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ফিল্টার ব্যাবস্থা কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারে। গ্রাফিন অক্সাইড তেমনই একটি বস্তু।

তবে এই গবেষণার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষক রাম দেবনাথন সতর্ক মতাতম জ্ঞাপন করেছেন। নেচার ন্যানোটেকনোলজীতে প্রকাশিত গ্রাফিন অক্সাইডের এই গবেষণা সম্পর্ক তিনি বলেন, ব্যাপক মাত্রায় গ্রাফিন অক্সাইড উৎপাদনের আগে বিজ্ঞানীদের আরো অনেক কাজ করতে হবে। তিনি এই বস্তুটিকে বিভিন্ন অবস্থায় কার্যকরী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.