সম্প্রতি মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার পর এক ব্যক্তির বিশ্বকে নতুন গাণিতিক দৃষ্টিতে দেখার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
২০০২ সালে দুইজন ব্যক্তি জ্যাসন প্যাজেটকে রাস্তায় ফেলে আক্রমন করে যার ফলে তার মস্তিষ্কে প্রচন্ড আঘাত লাগে এবং দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে এই কারণে ভুগতে হয়। কিন্তু এই ঘটনা একই সাথে প্যাজেটকে গণিতের জাহাজে পরিণত করে যিনি বিশ্বকে জ্যামিতির দূরবীন দিয়ে দেখতে পান।
ওয়াশিংটনের টাকোমায় একটি ফার্নিচারের দোকানের বিক্রয়কর্মী হিসেবে কর্মরত প্যাজেটের পড়াশোনার দিকে খুব সামান্যই ঝোঁক ছিলো। কিন্তু তিনি এই আঘাতের পরে মানসপটে গাণিতিক বস্তুসমূহ এবং পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন ধারনা চিত্রিত করার সক্ষমতা লাভ করেন। এই আঘাতে তাঁর মস্তিষ্কের এমন একটি অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে যাতে করে চতুর্পাশের সবকিছু গাণিতিক কাঠামো হিসেবে দৃষ্টিগোচর হয়।
এই বিষয়ে প্যাজেট এক সাক্ষাতকারে বলেন, “বাস্তব জগতের সর্বত্র আমি বিভিন্ন আকৃতি এবং কোণ দেখতে পাই- রংধণুর জ্যামিতি হতে সর্পিলাকারে ড্রেনে গড়িয়া যাওয়া পানির ফ্র্যাক্টাল কাঠামো পর্যন্ত। এটা সত্যিই দারুন।” প্যাজেট অত্যন্ত বিরল সংখ্যক মানুষদের একজন যিনি স্যাভান্ট সিন্ড্রোম প্রাপ্ত হয়েছেন। এধরনের সিন্ড্রোমের একজন সাধারণ মানুষ আঘাত বা রোগের কারণে প্রচন্ড মেধার অধিকারী হয়ে ওঠেন। কিছু কিছু মানুষ সঙ্গীত কিংবা শিল্পবোধ সম্পন্ন হয়ে ওঠেন, আর খুব অল্প সংখ্যক মানুষ প্যাজেটের মতোই গাণিতিক প্রতিভায় পরিণত হন।
গবেষকগণ পরবর্তীতে খুঁজে দেখেছেন মস্তিষ্কের ঠিক কোন অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠায় এই ব্যক্তির দক্ষতা তৈরি হয়েছে এবং ধারনা করছেন এধরনের ক্ষমতা প্রতিটি মানুষেরই মস্তিষ্কে সুপ্তাবস্থায় বিরাজ করে।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক
বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন ইউটিউবে। লিংক:
১. টেলিভিশনঃ তখন ও এখন
২. স্পেস এক্সের মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা