ব্যক্টেরিয়াতে থেকে আলোক উৎস তৈরি খুব বেশী দুরে নয়। এমনটিই বলছেন যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী যারা ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃত্রিম জীববিজ্ঞান ব্যবহার করে জৈব-বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করছেন।
শিক্ষার্থীরা জিনগতভাবে রূপান্তরিত বৈদ্যুতিক বাতিসদৃশ বস্তুতে রূপান্তর করেছেন। এই বাতি চালু হয় যখন ব্যক্টেরিয়া তাপ বা কোনো ক্ষুদ্র অণুজৈবিক ফুয়েল সেল থেকে বৈদ্যুতিক প্রবাহ গ্রহণ করে। এই ধরনের ফুয়েল সেল তৈরি করা হয় অণুজীব ব্যবহার করে, যারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এবং ব্যাটারীর মতো কাজ করে।
এই প্রকল্প এই সাপ্তাহে বোস্টনে অনুষ্ঠিতব্য International Genetically Engineered Machine এর প্রতিযোগীতায় উপস্থাপন করা হবে। এতে একটি প্রতিপ্রভা সৃষ্টিকারী যুক্ত করা হয়েছে ব্যক্টেরিয়াতে যা প্রতিপ্রভ প্রোটিন তৈরি করে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে উজ্জ্বলতা প্রদর্শন করে। প্রকৃতিতে জোনাকি ইত্যাদিতে প্রাকৃতিকভাবেই এই ধরনের প্রোটিন সৃষ্টিকারী জিন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দলটি এই বাতিটিকে প্রজ্জ্বলিত করার জন্য একটি সার্কট এবং প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎসও তৈরি করেছে যে খুব সহজেই বাতিটিকে নিয়ন্ত্রন করা যায়।
এই গবেষনাটি উন্মুক্ত উৎস, অর্থাৎ গবেষণাটির সবরকম তথ্যাবলী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যেন, যে কোউ চাইলে এই তথ্য ব্যবহার করে এধরনের গবেষনার আরো অগ্রগতি সাধন করতে পারে।