বিজ্ঞানীরা পাতা না উল্টেই বই পড়ার একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। এর ফলে অতিপুরোনো ঝরঝরে হয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক বইগুলোর পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। এই প্রযুক্তিতে বন্ধ বইয়ের পাঠোদ্ধার করার জন্য টেট্রাহার্টজ তরঙ্গের বিকিরণ ব্যবহার করা হয়। এধরনের তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য মাইক্রোওয়েভ ও অবলাল তরঙ্গের মাঝামাঝি।
MIT এর বারমাক হেশমাত এবং তাঁর সহকারীরা এই পদ্ধতি পরীক্ষা করতে শুরু করেছেন নয় পাতার একটি বইয়ের মাধ্যমে। এই বইয়ের পাতাগুলো পুরু এবং প্রতিটি পৃষ্ঠায় একটি করে বর্ণ লেখা রয়েছে। বইটিকে টেট্রাহার্টজ তরঙ্গের বিকিরণের মাধ্যমে আঘাত করে এবং প্রতিফলিত তরঙ্গ পরিমাপ করে গবেষকগণ বইয়ের ভেতরের অক্ষর পড়তে পেরেছেন।
নিক্ষিপ্ত তরঙ্গ বইয়ের কাগজ এবং কালির প্রতি ভিন্ন ধরনের সাড়া দেয় তাই প্রতিফলিত রশ্মির মধ্যে ভিন্নতা তৈরি হয়। কিন্তু এই অবস্থায় সবগুলো পৃষ্ঠের লেখাগুলো একীভুত অবস্থায় প্রতিফলিত বিকিরণ থেকে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাই কম্পিউটার ব্যবহার করে একটি এলগরিদমের মাধ্যমে বিভিন্ন পৃষ্ঠার লেখাগুলো পৃথক করা হয়। অপেক্ষাকৃত ভেতরের দিকের পৃষ্ঠাগুলোতে আলোক তরঙ্গ ভেদ করতে পারে কম ফলে বিভিন্ন পৃষ্ঠার লেখার মধ্যেও ভিন্নতা তৈরি হয়।
এই পদ্ধতিতে প্রাচীন বইগুলোর পাশাপাশি চিত্রশিল্পের বিভিন্ন স্তরে লুকিয়ে থাকে শিল্পীর সই এবং অন্যান্য তথ্য উদ্ঘাটন করারও আশা করছেন।