বিজ্ঞানীরা নিউজিল্যান্ডের উপকূলবর্তী সমুদ্রে দুধ-সাদা প্ল্যাংকটনের ক্রমবিকাশ লক্ষ্য করেছেন এবং বলছেন এটি জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের সমুদ্রগুলোর উষ্ণায়নের সর্বশেষ বাস্তুতান্ত্রিক লক্ষণ।
এই সাদা প্রস্ফুরণ cocolithophore নামক শৈবালের দেহাবশেষ এবং এদের দেহ ক্যালসিয়াম কার্বনেটের খোলস যুক্ত হয় সাদা বর্ণ ধারন করে। এবং নতুন গবেষণা হতে দেখা যায় এই সাদা প্রস্ফুটন ক্রমশঃ দক্ষিন দিকে বিস্তারিত হচ্ছে কেননা অপেক্ষাকৃত শীতল দক্ষিনের সমুদ্র তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্রমশঃ শৈবাল জন্মানোর উপযোগী হয়ে উঠছে।
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ স্যাটেলাইট এবং জাহাজের পর্যবেক্ষণ হতে শৈবাল প্রস্ফুটনের চার্ট তৈরি করেছেন যা ১৩০,০০০ বছর আগের প্রাকৃতিক সমুদ্র উষ্ণায়নের তথ্যের সাথে সাযুয্যতা দেখায়।
Cocolithophore যখন মারা যায় তখন cocolith নামক একপ্রকার বহিস্তর রেখে যায়, যা ক্যালসিয়াম কার্বনেটের আস্তরণ দিয়ে তৈরি। সমুদ্রের তলদেশে ধীরগতিতে তলিয়ে যাওয়ার পুর্বে এগুলোর কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ সাদা দেখায়। সমুদ্র তলদেশে এদের স্তরীভুত অবস্থা একধরনের কর্দমাক্ততা তৈরি করে।
এই শৈবাল জাতীয় ফাইটোপ্ল্যাংকটনগুলো পরিবেশ এবং বাস্তুসংস্থানের প্রতি উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে। শৈবাল সালোক-সংশ্লেষণের মাধ্যমে বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশন করে। মূলতঃ বায়ুমন্ডলে দীর্ঘদিন ধরে যে অক্সিজেন জমা হয়ে বর্তমান অবস্থা তৈরি হয়েছে এবং প্রাণের নিঃশ্বাসে অবদান রাখতে তার অধিকাংশই এই সামুদ্রিক শৈবালেরই অবদান।