কৃষ্ণগহবর বা ব্ল্যাক হোল সম্বন্ধে আমরা সবাই জানি, এর জন্য বিজ্ঞানের ছাত্র হতে হয় না। কৃষ্ণগহবরের আকর্ষণ এত প্রকান্ড যে তার ভেতর থেকে আলোও বেরিয়ে আসতে পারে না, ফলে একে কালো বা অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখায়। তবে নাসা সম্প্রতি অতিভারী কৃষ্ণগহবর মার্কারিয়ান ৩৩৫ (Markarian 335) এর কাছে কিছু অদ্ভুৎ পর্যবেক্ষণ করেছে।
নাসার ভুমিতে অবস্থিত নিউক্লিয়ার স্পেক্ট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ সহ আরো দুটি মহাশূন্য টেলিস্কোপ অলৌকিক ভাবে কৃষ্ণগহবরটির কাছাকাছি জ্যোতির্বলয়টিকে উৎক্ষিপ্ত হয়ে দূরে সরে যেতে দেখেছে। পরবর্তীতে একদমকা এক্স-রে আকারে শক্তি এখান হতে উৎসরিত হয়েছে। তাহলে, প্রকৃত ঘটনাটি আসলে কী ঘটেছে? বিজ্ঞানীরা আসলে ঠিক এই বিষয়টিই এখন উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছেন।
সেন্ট ম্যারি’স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড্যান উইলকিনস এই বিষয়ে বলেন, “এই প্রথমবারের মতো আমরা জ্যোতির্বলয়কে উদগীরিত হতে দেখলাম। এতে থেকে আমরা বুঝতে পারব কিভাবে অতিভারী কৃষ্ণগহবরগুলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল কিছু বস্তুকে শক্তি জোগায়।”
নিউস্টার এর প্রধান গবেষক ফিওনা হ্যারিসন উল্লেখ করেন যে এই শক্তির উৎসটি খুবই ‘রহস্যময়’, তবে সেই সাথে যোগ করেন, এই শক্তির যোগান থেকে একটি কৃষ্ণগহবরের প্রকৃত আকার, গঠন এবং কৃষ্ণগহবর কিভাবে কাজ করে সেই সম্বন্ধে তাজা ধারনা লাভ করা যাবে। সৌভাগ্যবশতঃ এই কৃষ্ণগহবরটি এখনো আমাদের কাছ থেকে ৩২৪ মিলিয়ম আলোকবর্ষ দূরে।
কাজেই, এর মধ্যে যে ঘটনাই ঘটুক না কেন তা এই দূরত্ব পাড়ি দিয়ে আমাদের এই কোণায় এসে পৌঁছুতে পারবে না।
⚫ বিজ্ঞানপত্রিকা ডেস্ক
বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন ইউটিউবে। লিংক:
1. স্পেস এক্সের মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা
2. মাইক্রোস্কোপের নিচের দুনিয়া