মেক্সিকোতে সম্প্রতি মাছ বৃষ্টি হয়েছে। টামলিপাস প্রদেশের টামপিকোতে সিভিল ডিফেন্সের কর্মকতাগণ এই খবর নিশ্চিত করেছেন এবং হালকা বৃষ্টির সাথে পতিত কিছু মাছে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
যদিও এই অস্বাভাবিক মনে হয় তবুও মাছের বৃষ্টি একেবারে বিরল নয়। যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের মাধ্যমে জানা যায় বিজ্ঞানীরা মনে করেন জলীয় ঘূর্ণীর মাধ্যমে পানির সাথে মাছ বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পরে এবং কিছু সময় পরে বৃষ্টি হয়ে ভূমিতে নেমে আসে।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির ড. র্যান্ডি সেরভানি এই ধরনের ঘটনাকে তাঁর লিখিত বইতে উল্লেখ করেন, “ঝড়ের আতংক” হিসেবে। সেরভানি লেখেন, “১৮৮৯ সাল হতেই জলীয় ঘূর্ণীর মাধ্যমে টানে মাছের বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়া এবং অন্যত্র চলে যাওয়ার পর্যবেক্ষণের আলামত রয়েছে। এমনকি, বর্তমানেও এধরনের মাছের পতনের যথাযথ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করা কঠিন।”
আকাশ হতে ‘মাছ বৃষ্টি’ নামার ধারণকৃত আরো নমুনা রয়েছে।
২০০৪ সালে বিবিসির প্রতিবেদনে দেখা যায় ওয়েলসের নাইটন শহরে মাছের বৃষ্টি হয়েছে। ২০১২ সালে জাপানের শহরগুলোতে কয়েকদিন ব্যাপী ‘ব্যাঙাচির মেঘ’ হতে বৃষ্টি হয়েছে। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে চিংড়ি এবং মাছের বৃষ্টির হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক