জাপানের একটি চিড়িয়াখানার অন্ততঃ একতৃতীয়াংশ স্থানীয় তুষার বানরকে নিধনে কতৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে কারণ এগুলো ‘হানাদার বহিরাগত প্রজাতির’ জিন বহন করছিলো। কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ প্রজাতির মনে করে চিড়িয়াখানায় যে জাপানী ম্যাকাক বানরগুলোকে রেখেছিলো সেগুলো মূলতঃ একধরনের বহিরাগত রেসাস বানরের মিশ্রিত প্রজাতি আবিষ্কৃত হওয়ার পর এগুলোকে নিধন করা হয়। জাপানী ম্যাকাক বানর দেশটির স্থানীয় প্রজাতি।
২০১৩ সালের পরিশোধিত পরিবেশ নীতিমালা অনুযায়ী জাপানে মিশ্রিত প্রজাতির, হানাদার, কিংবা এদের হাইব্রীড প্রজাতির জীবের পালন বা পরিবহন নিষিদ্ধ। এই নীতিমালার আলোকে মিশ্রিত জিনের প্রাপ্ত ৫৭ টি ম্যাকাক-রেসাস বানরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কোনো সুযোগ থাকে না। এএফপিতে দেওয়া বিকৃতিতে চিড়িয়াখানাটির একজন কর্মকর্তা বলেন, “স্থানীয় আদিম পরিবেশ বজায় রাখার জন্য এগুলোকে নিধন করতে হয়েছে।”
বানরগুলোকে নিধনের পর স্থানীয় একটি বৌদ্ধ মন্দিরে এগুলোর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়েছে।
জাপানী ম্যাকাক বানগুলোকে কেবল জাপানেই পাওয়া যায় এবং মানুষ ব্যাতীত প্রাইমেট বর্গভুক্ত সর্বউত্তরের প্রানী। পার্বত্য অঞ্চলে এরা প্রায়শঃই তুষারপাতের মুখোমুখি হয় যার কারণে এদের তুষার বানর নামের উৎপত্তি। ভুমি সংলগ্ন উষ্ণ প্রস্রবণে সৃষ্ট চৌবাচ্চাসদৃশ হ্রদে কিছু কিছু বানরকে শীতকালীণ সময়ে উষ্ণ স্নান উপভোগের সংস্কৃতি তৈরি করে নিতে দেখা গেছে।
তবে রেসাস ম্যাকাক বানরগুলোর আবাসস্থল দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার বিপুল অংশ জুড়ে বিস্তৃত এবং এগুলোকে জাপানে বাইরে থেকে প্রবেশ করানো হয়েছে। জাপানের স্থানীয় প্রজাতিগুলোকে সংরক্ষণের জন্য জাপান সরকার এই প্রজাতিকে নির্মূলে এবং স্থানীয় তুষার বানরের সাথে প্রজনন রোধের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক