মহাশূন্য এলিভেটরের নকশা?

0
556

স্পেস বা মহাশূন্য এলিভেটরের স্বপ্ন দেখছে মানুষ অনেকদিন ধরে। এতে একধরনের রজ্জু কল্পনা করা হয় যার একপ্রান্ত পৃথিবীতে ভূ-পৃষ্ঠের সাথে যুক্ত থাকবে এবং অপর প্রান্ত মহাশূন্যে উন্মুক্ত হবে যার মাধ্যমে সহজেই ভু-পৃষ্ঠ থেকে মহাশূন্য কোনো রকম রকেট উৎক্ষেপণ ছাড়াই মালামাল পরিবহন করা যাবে (নিচের চিত্র দ্রষ্টব্য)।

শিল্পীর কল্পনায় স্পেস এলিভেটর

একটি কাউন্টার ওয়েটের মাধ্যমে একে স্থিতিশীল রাখা হবে যা থাকবে যা থাকবে ভূপৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার উপরে এবং এর মাধ্যমে এই রজ্জু পৃথিবীতে চাপ প্রয়োগের পরিবর্তে উপরের দিকে টান অনুভব করবে।

এই এলিভেটর ব্যবহারে বর্তমান সময়ের চেয়ে মহাশূন্যভ্রমনের খরচ কমে আসবে অনেক অনেক গুণ। কিন্তু এই ধরনের এলিভেটর তৈরির জন্য যেমন দৃঢ় বস্তু প্রয়োজন তা হাতের নাগালে না থাকায় এ ধরনের পরিকল্পনা কল্পনার মধ্যেই থেকে গেছে। (এ নিয়ে বিজ্ঞান পত্রিকায় ইতিপূর্বে একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহীরা এই লিংক থেকে পড়তে পারবেন।)

তবে দুধের সাথ ঘোলে মেটানোর মতো করে বছরখানেক আগে কানাডার একটি কোম্পানী ২০ কিলোমিটার উঁচু টাওয়ার নির্মানের একটি নকশা পেটেন্ট করেছে যা অনেকটা স্পেস এলিভেটরের মতোই কাজ করবে (নিচের চিত্রের মতো)।

তবে যেহেতু উচ্চতা মাত্র ২০ কিলোমিটার তাই এটি পুরোপুরি মহাশূন্য পর্যন্ত বিস্তৃত হবে না বরং ২০ কিলোমিটার উঁচুতে এতে একটি রানওয়ে থাকবে যাতে স্পেস শাটলগুলো উঠানামা করতে পারবে এবং সরাসরি রকেটও উৎক্ষেপণ করা যাবে। আর এতেই যে পরিমাণ মধ্যাকর্ষন বল উপেক্ষা করা সম্ভব হবে তাতে ৩০% জ্বালানী খরচ বাঁচানো যাবে। এই টাওয়ারে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ঝড়ের ফলে যে দোদুল্যমান পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেসব মোকাবেলার ব্যবস্থা থাকবে।

তবে কেউ কেউ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নযোগ্য মনে করছেন না। তাঁরা বলছেন এই প্রযুক্তির চেয়ে বরং আগের কল্পনাপ্রসুত রজ্জুর মতো স্থাপনা আরো বেশী বাস্তবায়নযোগ্য।

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.