খরায় পানির চাহিদা পূরণ করবে জলস্তম্ভ

0
379

প্রথম ছবিতে যে ভাস্কর্যগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো ওয়ার্কা জলস্তম্ভ (Warka water tower)। খরাপীড়িত ইথিওপিয়ার গ্রামাঞ্চলে পানির অভাব পূরনের জন্য আর্টুরো ভিটোরি এই স্তম্ভগুলোর নকশা করেছেন। এই স্তম্ভগুলো দিনে প্রায় ২৫ গ্যালন পানি সরবরাহ করতে পারে।

এই স্তম্ভগুলো দুটি অংশ নিয়ে গঠিত। সুরক্ষামূলক বহির্কাঠামোটি নির্মান করা হয় বাঁশ বা বেত জাতীয় বস্তু দিয়ে এবং ভিতরের দিকে থাকে একটি প্লাস্টিকের জাল। এই জালে বাতাস থেকে জলীয়বাস্প ঘনীভুত হয়ে শিশিরাকারে জমা হয় এবং শিশিরকণাগুলো ক্রমশঃ আকারে বড় হয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় নিচে রাখা পাত্রে ঝরে পড়ে।

12027590_832226076874703_1539447738289862167_n

ইথিওপিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে খরার কারণে পানির প্রচন্ড সংকট। দূর-দূরান্ত থেকে পানি এনে এই সংকট কোনো রকমে মোকাবেলা করতে হয়। ভিট্টোরি তাই এই সমস্যার একটি সহজ সমাধান খোঁজার চেষ্টা করলেন। এমন একটি পদ্ধতি যার পানি হবে নিরাপদ এবং সবক্ষেত্রে ব্যবহারোপযোগী। যা গ্রামের মানুষ নিজেরাই তৈরি করতে পারবে এবং একে অন্যকে শেখাতেও পারবে। ভেবে চিন্তে তিনি এই জলস্তম্ভ নির্মানের পরিকল্পনা করলেন।12063696_832226050208039_2003445532840292844_n

যদিও কূপ খননের মাধ্যমে হয়তো পানির চাহিদা আরো ভালোভাবে পূরণ করা যেত কিন্তু ইথিওপিয়ার কঠিন শিলাস্তর ভেদ করে ১৫০০ ফুট গভীরে খনন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া কূপের রক্ষনাবেক্ষনও বেশ ঝামেলাপূর্ণ। এই জলস্তম্ভের নাম দেওয়া হয়েছে ওয়ার্কা নামক ইথিওপিয়ার বৈশিষ্ট্যসূচক গাছের নামানুসারে। বৃহদাকার এই গাছগুলো ইথিওপিয়ার গ্রামীন মানুষের সামাজিক মিলনস্থল।

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.