খ্যাতিমান উদ্ভাবকদের বাজে ভবিষ্যৎবাণীগুলোও বেশ বিখ্যাত এবং হাস্যোদ্দীপক। এখানে দু’একটি নমুনা তুলে ধরছি।
১৯০৩ সালে আমেরিকান পেটেন্ট অফিসের একজন বড়কর্মকর্তা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, “আমরা সম্ভবতঃ আর ১০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে উড়ুক্কু যান উদ্ভাবন করতে পারব।” সেই বছরই উইলবার এবং ওরভিল রাইট উড়োজাহাজ তৈরি করে দেখান। তার কয়েক বছর পর ১৯০৯ সালে একজন ভবিষ্যৎবানী করেন “আমেরিকা থেকে প্যারিসগামী কোনো উড়োজাহাজ কখনো নির্মিত হবে না।” কথাগুলো কে বলেছিলেন? উড়োজাহাজ উদ্ভাবকদের একজন উইলবার রাইট!
IBM এর চেয়ারম্যান থমাস ওয়াটসন ১৯৪৩ সালে বলেছিলেন, ‘বিশ্বের বাজারে সম্ভবতঃ পাঁচটি কম্পিউটারের চাহিদা আছে।’ আমেরিকায় টেলিফোন প্রচলিত হওয়ার পর ১৮৭৬ সালে ব্রিটিশ পোস্ট অফিসের প্রধান প্রকৌশলী স্যার উইলিয়াম প্রিস বলেছিলেন “আমেরিকানদের টেলিফোন প্রয়োজন হতে পারে তবে আমাদের নেই। আমাদের প্রচুর ডাকবাহক রয়েছে।”
ভবিষ্যৎবাণীর দিক থেকে বিলগেটস একধাপ এগিয়ে। ১৯৮৯ সালে তিনি বলেন, “আমরা কখনোই ৩২ বিটের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করব না।” এখনকার অপারেটিং সিস্টেমগুলো ৬৪ বিটের! ২০০৪ সালে তিনি বলেন “আগামী দুই বছরের মধ্যে স্প্যাম সমস্যার সমাধান হবে।” এখনকার ৯০ শতাংশ ইমেইলই স্প্যাম।
১৯৯৬ সালে LAN প্রযুক্তির মাধ্যমে নেটওয়ার্কস্থাপনের উদ্ভাবক রবার্ট মেটাক্যাফে একটি কলামে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, “আমার অনুমান ইন্টারনেট শিঘ্রই একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে যাবে এবং তারপর বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মাধ্যমে স্তিমিত হয়ে যাবে।” তবে কয়েকবছরের মধ্যেই মেটাক্যাফে বুঝতে পারলেন তিনি কী হাস্যকর মন্তব্য করেছেন। তিনি তাই তাঁর কথাগুলো গিলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন (আক্ষরিক অর্থেই)। ১৯৯৯ সালে WWW এর ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আহবানকালে তিনি তাঁর সেই কলামের একটি কপি ব্লেন্ডারে গুলে ঢেলে খেয়ে ফেলেছিলেন।
⚫ বিজ্ঞানপত্রিকা ডেস্ক
বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন ইউটিউবে। লিংক:
1. স্পেস এক্সের মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা
2. মাইক্রোস্কোপের নিচের দুনিয়া