রাশিয়ার একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘মুক্তিকামী’ একটি রোবট তার মানব বন্দীকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গবেষক গবেষনাগারের দরজা ঈষৎ ফাঁক করে রেখে গেলে রোবটটি এই সুযোগে পালিয়ে পাশের রাস্তায় চলে যায় এবং যৎকিঞ্চিৎ ট্যাফিকজ্যাম সৃষ্টি করে। অবশ্য দুঃখজনকভাবে ব্যাটারীর চার্জ শেষ হয়ে গেলে একে পুনরায় আটক করে নিয়ে আসা হয়।
বিবিসির খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার পার্ম নগরের প্রোমোবট ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা রোবটগুলোকে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর শিক্ষা দিচ্ছিলেন। এই সময় একজন গবেষক দরজা হালকা খুলে রেখে বাইরে গেলে একটি রোবট স্বাধীনভাবে বেরিয়ে প্রায় ৫০ মিটার অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী ব্যস্ত রাস্তায় উঠে যায়। যখন এর ব্যাটারী নিঃশেষ হয়ে যায় তখন নিকটস্থ পুলিশ সক্রিয় হয় এবং নিশ্চিত হয় যে এটি পুনরায় নিজেকে চালু করবে না।
তবে আপনাদের মধ্যে সন্দেহপ্রবণ পাঠক যাঁরা আছেন তাঁরা হয়তো সন্দেহ করবেন এতক্ষণ যা পড়লেন তার সবই পুরোপুরি ঠিক নয়; দুঃখজনকভাবে আপনার অনুমান সঠিক। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান রোবোটের ভিতরের একটি সাউন্ড সিস্টেম থেকে প্রচারনামূলক শব্দ ভেসে আসছিলো। রোবটের নির্মাতার দাবী ছিলো এটি মানুষের সাথে ভাব আদান-প্রদান করতে পারবে এবং ঘটনা অনুযায়ী কন্ঠের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে, কিন্তু এই সেই সময় শুধুমাত্র উচ্চস্বরে কোম্পানীর গুণগান গেয়ে গেছে।
অনেকেই ধারনা করছেন রোবটটিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো কোম্পানীর প্রচারের জন্য। কিন্তু যদি ঘটনা আসলেই সত্যি হয় তাহলে কেমন হবে? যদি রোবট শিল্পের উৎকর্ষের সাথে রোবটেরা মুক্তিকামী হয়ে ওঠে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে কি হবে? আমরা যদি এক সন্ধ্যায় রোবটের নবজাগরণের শিকার হই তাহলে কি হবে? কি হবে যদি আপনার টোস্টারটি হঠাৎ কোনো একটি ইচ্ছে করে আপনার রুটি পুড়িয়ে ফেলে?
তবে এসব ঘটবে না। আপনার যদি এই বিষয়ে আস্বস্ত হওয়ার প্রয়োজন হয় যে সহসাই এই ধরনের রোবট বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাহলে আমেরিকান সেনাবাহিনীর বৈজ্ঞানিক অংশের ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন। The Defense Advanced Research Projects Agency (DARPA) এর সবচেয়ে আধুনিক ও অগ্রসরমান বেশ কিছু রোবটকে পরীক্ষা করে দেখেছে। এই যান্ত্রিক খুনীগুলো এমনটি একটা জানালা না ভেঙ্গে এক কাপ চা-ও নেড়ে খেতে পারে না।