সৌরজগৎব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার অংশবর্তী প্রথম বস্তুটি হলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)। নতুন একধরনের প্রযুক্তি ডিলে/ডিসরাপশন টলারেন্ট নেটওয়ার্কিং (DTN) এর কৃতিত্ত্বে এই পরিকল্পনা কাজ করছে যা ভবিষ্যতে চন্দ্র এবং মঙ্গল অভিযানসমূহের সাথে ISS এর উভমূখী তথ্য প্রবাহে ভুমিকা রাখবে। কোনো একদিন যখন মঙ্গলবাসী সেটেলারগণ ইন্টারনেটে বসে ভিডিও দেখবেন তখন তাঁরা DTN প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ দেবেন।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, DTN “সংরক্ষণ এবং সম্মুখবর্তীকরণ” নামক একধরনের প্রক্রিয়ায় কাজ করে যার ফলে এটি তথ্য আদান-প্রদান পথের বিভিন্ন নোডে তথ্যগুচ্ছ সংরক্ষণ করে এবং এটি বচূড়ান্ত পর্যায়ে তথ্যসমুহে পুনর্বিন্যাস করে যখন মহাশূন্যযান ইত্যাদিতে বসে মানুষ সেই তথ্য ব্যবহার করে।
প্রচলিত ইন্টারনেট ব্যবস্থায়, যেমন আপনি এই লেখাটি যে ব্যবস্থায় বসে পড়ছেন সেখানে তথ্য সরবরাহকারী পথের বিভিন্ন নোডের মধ্যে সার্বক্ষণিক সংযোগ বজায় রাখতে হয়। DTN প্রযুক্তি বিভিন্ন নোডে অস্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করে এই সার্বক্ষণিক সংযোগের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করতে পারে।গভীর মহাশূণ্যের বিশৃঙ্খল প্রকৃতিতে বিভিন্ন মহাজাগতির বস্তুর বিচরনে বিভিন্ন নোডের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এই সুবিধা বেশ গুরুত্ববহ হতে পারে।
টেলিসায়েন্স রিসোর্স কিট (TRek) নামক একগুচ্ছ সফটওয়্যারের মধ্যে ইতিমধ্যে DTN প্রযুক্তি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে যাতে ISS এর মাধ্যমে ভুমি থেকে প্রেরিত তথ্য গ্রহন করে সৌরজগতের দূর-দুরান্তের বিভিন্ন নোডে সরবরাহ করে দেওয়া যায়। এর মাধ্যমে ISS নিজেই একটি নোডে পরিণত হয়েছে যা ভূমি থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করছে। [উৎস: IFLSCIENCE]