দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট ফ্যালকন হ্যাভি সফলতার সাথে উৎক্ষেপন করেছে স্পেস এক্স

0
659

স্পেস এক্সের দীর্ঘদিন ঘরে আলোচনায় থাকা এবং বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট ফ্যালকন হ্যাভি সফলতার সাথে উৎক্ষেপন করা হয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে।

এই রকেটের পুনর্ব্যাবহারযোগ্য তিনটি বুস্টার রয়েছে, যারা একযোগে কাজ করে এটিকে মঙ্গলে মানুষ বহনের জন্য নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা দেয়। স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রযুক্তিবিদ ইলোন মাস্ক মঙ্গলে মানববসতি স্থাপনের লক্ষ্য হতেই এই রকেটটি নির্মানের চেষ্টা করেছেন।

রকেটটি উৎক্ষেপনের আগে ইলোনমাস্ক টুইটারে জানিয়েছিলেন তিনি এর সফল উড্ডয়নের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ৪ মিলিয়ন পাউন্ড টিএনটির সমান বলের এই উৎক্ষেপন সত্যিই সফলভাবে একে কক্ষপথে পাঠাবে কিনা সেই বিষয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এটি সফলভাবেই কেনেডি স্পেস সেন্টারের উৎক্ষেপন প্যাড হতে ছেড়ে গেছে।

মাস্ক স্বীকার করেন পরীক্ষাধীন রকেটে বেশী ভার যুক্ত করা হয় নি, তবে তবুও যদি এর উড্ডয়ন সফল না হতো তাহলে কোম্পানীর অগ্রযাত্রা বিশাল হোঁচট খেত। এই উৎক্ষেপন সফল হওয়ায় পরবর্তীতে ভারী পে-লোড (payload) যুক্ত করে উৎক্ষেপন পরীক্ষা করে দেখার দুয়ার উন্মোচিত হলো।

স্পেস এক্সের ফ্যালকন সিরিজের রকেটগুলোর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের প্রথম স্টেজ অর্থাৎ বুস্টার অংশটি পূণর্ব্যবহারযোগ্য। ফলে অন্যান্য রকেট একবার উৎক্ষেপন করলেই যখন শেষ হয়ে যায়, সেখানে ফ্যালকন রকেটের বড় অংশ বারংবার ব্যবহার করা যায়। এতে মাহাকাশে পরিবহনের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে।

তিনটি বুস্টারের মধ্যে দুটি সফলভাবে উদ্ধারের ভিডিও চিত্র ধারন করা গেছে, তবে তৃতীয়টির সাথে ভিডিও কানেকশন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সেটি সমুদ্রের মাঝে স্থাপিত ড্রোন জাহাজে সফলভাবে অবতরণ করেছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে ধারাবাহিকভাবেই এই বুস্টারগুলোকে সফলতার সাথে অবতরণ করানো যাচ্ছে তাই এটি বড় কোনো সমস্যা নয়।

স্পেস এক্সের মহাকাশ গবেষণার একটি অন্যতম লক্ষ্য উড্ডয়ন ব্যয় কমিয়ে আনা, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মহাশূন্যভ্রমণ সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। এই উদ্দেশ্যে এটি রকেটের বিভিন্ন অংশ পূনর্ব্যাবহারযোগ্য করতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.