কফিপ্রেমীদের জন্য সুসংবাদ। কফির স্বাস্থ্যকর প্রভাব সম্বন্ধে নতুন আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। নতুন গবেষণায় প্রমানীত হয়েছে কফি পানে সার্বিকভাবে মৃত্যু ঝুঁকি কমে ৬৪ শতাংশ।
গবেষকগণ গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় হৃদরোগ সমিতির সভায় ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যবয়সী মানুষের মধ্যে চালিত একটি গবেষণা তুলে ধরেন। এই গবেষণা কফি পানের সাথে মৃত্যুঝুঁকির সম্পর্ক নিয়ে চালানো হয়। গবেষণায় দেখা যায় যারা প্রতিদিন অন্ততঃ চার কাপ পরিমান কফি পান করেছেন তাঁদের যেকোনো প্রবণতায় মৃত্যুঝুঁকি ৬৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
স্পেনের প্যামপ্লোনায় অবস্থিত হসপিটাল দ্য নেভারার ড. অ্যাডেলা নেভারো বলেন, “কফি সারা বিশ্বে সর্ববহুল পানকৃত পানীয়গুলোর একটি। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গিয়েছিলো কফি পানের সাথে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাসের সম্ভাবনা আছে। তবে ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কোথায় এধরনের বিস্তর গবেষণা চালানো হয় নি।”
ইউনিভার্সিটির অব নেভারার একটি প্রকল্পের আওতাধীন এই গবেষণায় ২০,০০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার শুরুতে সকল অংশগ্রহণকারীকে তাদের খাদ্যাভ্যাসের উপর কিছু প্রশ্ন করে তথ্য সংগ্রহ করা হয় যেন গবেষকগণ তাঁদের কফি পানের হার, জীবনাচরণ এবং সামাজিক, স্বাস্থ্যগত ও নৃতাত্তিক তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে পারেন। এর পর এই ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয় ১০ বছর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে সড়ে ৩৭.৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেন।
তবে যে সকল ব্যক্তি প্রতিদিন চার কাপ করে কফি পান করেছেন তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি যাঁরা পান করেন নি কিংবা খুব কম পান করেছেন তাদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, যারা চার কাপের উপরে আরো দুই কাপ কফি বেশী পান করেছেন তাঁদের মধ্যে মৃত্যুঝুঁকি অতিরিক্ত ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
লিঙ্গ এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব মৃত্যুঝুঁকির উপর তেমন প্রভাব ফেলতে দেখা যায় নি। তবে বয়সের সাথে মৃত্যুঝুঁকির সম্পর্ক ছিলো উল্লেখযোগ্য। কফি পানের প্রভাব বয়সের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। ৪৫শোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে অতিরিক্ত দুই কাপ কফি পানে মৃত্যুঝুঁকি কমে ৩০ শতাংশ। এবং অপেক্ষাকৃত তরুনদের মধ্যে ঝুঁকি হ্রাসের এই প্রবণতা তেমন নেই। [iflscience.com অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক