কাজের ধাপ:
১. একটি ৪-৫ ফুট লম্বা ড্রামের একেবারে নিচে একটি ছিদ্র করে পাইপ বের করতে হবে। এই পাইপের সাথে বহির্গমন কল যুক্ত থাকবে।
২. ড্রামের একেবারে নিচে কিছু পাথর ফেলতে হবে, আকার এমন হবে যেন সেগুলো পাইপ দিয়ে বেরিয়ে না যায়।
৩. এর উপর আরো ছোট পাথর দিতে হবে যেন এগুলো বড় পাথরের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে।
৪. তার উপর একটি পাতলা স্তর মোটা বালি দিতে হবে যেন এগুলো এর নিচের স্তরের পাথরের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে।
৫. এর উপরে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন ফুট সাধারণ বালির স্তর দিতে হবে। এই স্তরটিই ফিল্টার হিসেবে কাজ করবে। নিচের মোটাবালি আর পাথরের কাজ হল এই স্তরটিকে সাপোর্ট দেওয়া।
৬. উপরে ১-২ ফুট জায়গা থাকতে হবে পানি রাখার জন্য।
তৈরি হয়ে গেল সুপেয় পানির ফিল্টার। এই ফিল্টারে পুকুর বা জলাশয়ের পানি পানের উপযোগী করা যাবে। তবে কোনো কারখানার রাসায়নিক দূষণযুক্ত পানি এতে সুপেয় করা যাবে না।
বিশেষ সতর্কতা:
১. প্রথম ব্যবহারের সময় ছয়শ’ থেকে ১০০০ লিটার পানি এর মধ্য দিয়ে নিষ্ক্রান্ত করে ফেলে দিতে হবে এবং খাবার পানি সংগ্রহের জন্য অন্ততঃ এক দিন অপেক্ষা করতে হবে।
২. বালির স্তরটি তৈরির সময় বালির দানা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে যাতে কোনো রকমের কাদা ইত্যাদি লেগে না থাকে।
৩. পানি ঢালতে ঢালতে এর বালির স্তরের উপরে ময়লা জমতে থাকে এবং ফিল্টারটিকে ব্লক করে পানির প্রবাহ কমিয়ে দেয়। যদি বহির্গমনে প্রবাহ যথেষ্ট কমে আসে তাহলে বালির স্তরের উপর থেকে এক ইঞ্চি পরিমান ফেলে দিয়ে তাতে পরিস্কার বালি দিয়ে প্রতিস্থাপন করে দিতে হবে।
৪. ফিল্টারে গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।
এই পদ্ধতিতে একফুট চওড়া ড্রামের ফিল্টার থেকে ঘন্টায় ৫০ থেকে ১০০ লিটার সুপেয় পানি পাওয়ার আশা করা যায়। বাজারে যেসব প্লাস্টিক ট্যাংক পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করে আরো বেশী ধারনক্ষমতার ফিল্টার বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ৫০০ লিটার ধারন ক্ষমতার একটি ফিল্টার বানাতে খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা। মাটির ঘড়া ব্যবহার করেও কাজ চালানো সম্ভব।
-ইমতিয়াজ আহমেদ
সম্পাদক, বিজ্ঞান পত্রিকা
[লেখকের ফেসবুক প্রোফাইল]
মতামত বা জিজ্ঞাসা থাকলে সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।