মঙ্গলে বসবাসের জন্য ‘বরফ বাড়ি’র নকশা উন্মোচন করেছে নাসা

0
332

মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পর তাদের বাসগৃহ কেমন হবে সেই নকশা উন্মোচন করেছে নাসা। নাসার গবেষকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই বাড়িগুলো বানানোর জন্য নির্মান সামগ্রী হবে অপ্রত্যাশিত এক বস্তু -বরফ।

যেহেতু যে নভোচারীগণ মঙ্গলে ভ্রমণে যাবেন তাঁরা কয়েকদিনের জন্য নয় বরং কয়েক সপ্তাহর জন্য ভ্রমণ করবেন তাই তাঁদের থাকার জন্য এমন ঘর দরকার যেটিকে তাঁরা বাড়ি মনে করতে পারবেন এবং লাল গ্রহটির কঠিন প্রতিকুল পরিবেশের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে।

সবকিছু মাথায় রেখে নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টারের গবেষকগণ একদল স্থপতির সাথে মিলে বাড়ির জন্য এমন একটি ধারনা গ্রহণ করেছেন যাকে বলা যায় ‘মঙ্গলের বরফগৃহ’। এই বিষয়ে নাসার সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার কেভিন ভিপাভেটজ বলেন, “প্রয়োজন, লক্ষ, সীমাবদ্ধতা এসব নিয়ে একটি দিন মাথা ঘামানোর পর আমরা অনেক উদ্ভট ধারনার কথা ভেবেছি এবং অবেশেষে এই বরফ বাড়ির নকশার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। নাসার এই বরফ বাড়ির বেশ কিছু সুবিধা আছে। এটি হালকা এবং সহজে একস্থান থেকে অন্য স্থানে সরল রোবটযানের মাধ্যমে বয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। তারপর বসবাসকারীরা পৌঁছানোর আগেই পানি ঢেলে প্রস্তুত করে নেওয়া যাবে।”

আশ্রয়ের গৃহটিতে থাকার জন্য এটিকে মহাজাগতিক রশ্মি এবং বিকিরণ হতেও সুরক্ষিত হতে হবে। এই কাজের জন্য ভুআভ্রন্তরীণ কক্ষই সবচেয়ে কার্যকর হতো কিন্তু তার জন্য অত্যন্ত ভারী সরঞ্জামের প্রয়োজন যা মঙ্গলে বয়ে নিয়ে যাওয়া দুঃষ্কর। কাজেই এমন একটি বিকল্প নির্মান সামগ্রীর প্রয়োজন ছিলো যা এ ধরনের প্রতিরোধের জন্য কার্যকর হবে। বরফ এই ক্ষেত্রে বেশ উপযুক্ত।

তাছাড়া বরফের মধ্য দিয়ে সূর্যালোক ঘরে প্রবেশ করবে। তার ফলে বসবাসের জায়গাটিকে গুহা বলে মনে হবে না, বরং ঘরই মনে হবে। নাসার প্রধান উদ্ঘাটক কেভিন কেম্পটন বলেন, “মহাশূন্যে কয়েকমাস ভ্রমন শেষে যখন আপনি মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করবেন এবং সেখানে আপনার জন্য নতুন বাড়ি প্রস্তুতকৃত থাকবে তখন আপনার জন্য দিনটি বেশ চমৎকার হিসেবে দেখা দেবে।” [abc.net.au অবলম্বনে]

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.