মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, ধূমপানের কারণে মানুষের মৃত্যু হয় এটা তিনি একদমই বিশ্বাস করেন না। ২০০০ সালে এক উপ-সম্পাদকীয় নিবন্ধে তিনি এই মতামত প্রকাশ করেন এবং এখন পর্যন্ত তাঁর এই অবস্থানের কোন পরিবর্তন করেননি।
পেন্স লিখেছেন, “বাস্তবতার দিকে যদি তাকাই, রাজনৈতিক এবং মিডিয়ার দিক থেকে অতিরঞ্জিত প্রচার সত্ত্বেও ধূমপান মানুষের মৃত্যু ঘটায় না। এমনকি ধূমপান করা প্রতি ৩ জনের ২ জন কোন ধূমপান জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেনা। আর প্রতি দশ জনের নয় জন ধূমপায়ীর ফুসফুসে কোন ক্যান্সার হয়না।”
এই পরিসংখ্যানগুলো উদ্ভট এবং প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ বিজ্ঞানীরা ধূমপানের মারাত্মক দিক আবিষ্কারের নতুন উপায় খুঁজে চলেছেন। এই পরিসংখ্যান এখনো উদ্বেগজনক। কারণ রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ ধূমপান করে। বর্তমানের ধূমপায়ীদের মাঝে প্রতি তিন জনের একজন ধূমপান জনিত রোগে মারা যায় এর মানে বিশ্বে প্রায় ১৩.৩ মিলিয়ন মানুষ ধূমপানের কারণে মারা যাচ্ছে। আর প্রতি দশ জনের একজন তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারকে ত্বরান্বিত করছে, এর মানে প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হচ্ছে।
ধূমপানের ফলে যা ঘটছেঃ
- ধূমপানের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৪৮০,০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে এবং ধূমপানকারীর আয়ু প্রায় দশ বছর কমে যায়।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর কারণগুলোর অন্যতম এই ধূমপান।
- দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে যারা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে তারাই এর প্রধান শিকার
- মানুষকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা একটি সরকারী স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার। যেসব ধূমপায়ী ৪০ বছর বয়ষ্ক হওয়ার আগেই ধূমপান ছেড়ে দেয় তারা তাদের অপরিণত মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
বিষয়টি পরিষ্কার করতে ২০০০ সালেরও ৩৬ বছর আগে সার্জন জেনারেল লুথার টেরি ১৯৬৪ সালে ধূমপান এবং ক্যান্সারের মাঝে যোগসূত্রের বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন।
– শফিকুল ইসলাম