মানব রক্ত থেকে লেজার তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা

0
379

গবেষকগণ সম্প্রতি মানব রক্ত এবং একটি প্রতিপ্রভ বর্ণকণিকা ইন্ডোসায়ানিন গ্রিন (IGC) ব্যবহার করে রক্তিম লেজার তৈরি করেছেন। এটি শরীরের মধ্যে টিউমার খুঁজে বের করতে চিকিৎসকদের সহায়ক হবে।

এই লেজার তাহলে কাজ করে কিভাবে? একটি লেজার তৈরির জন্য আপানার প্রয়োজন হবে একটি আলোর উৎস, একটি বিবর্ধক বস্তু এবং প্রতিফলক কুঠুরি। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ ইন্ডোসায়ানিন গ্রিন (IGC) বর্ণকণিকাকে রক্তের সাথে মিশিয়ে সেটিকে বিবর্ধক হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন। গবেষকদের একজন জুডং ফ্যান এই বিষয়ে বলেন, “রক্ত ব্যাবহার না করে শুধু বর্ণকণিকাটি দিয়ে এই কাজ করা যায় না। যখন আপনি কুঠুরি, বিবর্ধক এবং আলোর উৎস প্রস্তুত রাখতে পারবেন তখনই আপনার লেজার আলোর মুখ দেখবে।”

যখন ফ্যান এবং তাঁর দল একটি প্রতিফলক চোঙ্গার মাঝে IGC এবং রক্তের মিশ্রন রাখেন এবং এর একপ্রান্তে নিকটসীমার অবলাল আলোর বিম নিক্ষেপ করেন তখন রক্ত থেকে আলো নিঃসৃত হয় এবং প্রতিফলক চোঙ্গায় প্রতিফলিত হয়ে অপর প্রান্ত দিয়ে লেজার হিসেবে নির্গত হয়। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে দেহাভ্যন্তরে টিউমার খুঁজে বের করতে কাজে লাগবে।

যেহেতু IGC রক্তনালীকায় জড়ো হয় কাজেই টিউমারের মতো যেসব অংশে রক্তনালীকা বেশি থাকবে সেসব অংশগুলো খুব সহজেই আলোকিত হয়ে উঠবে। পদ্ধতিটি খুব সহজ। রোগীর শরীরে IGC প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে এবং চামড়ার আলোর বিম নিক্ষেপ করতে হবে। একটি অবলাল ক্যামেরা সম্ভাব্য উজ্জ্বলতা পর্যবেক্ষণ করবে।

রক্তিম লেজারটি অবশ্য এখনো প্রানীর শরীরে সরাসরি পরীক্ষা করে দেখা হয় নি কেননা গবেষকগণ এখনো শরীরের অভ্যন্তরে প্রতিফলক কুঠুরি হিসেবে ব্যাবহার করার মতো কিছু খুঁজে পান নি। তবে ফ্যান বলেন, সোনার ন্যানো কণিকা এই কাজে সহায়ক হতে পারে।

 

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.