২০২০ সাল নাগাদ মঙ্গলে রোবটযান পাঠানোর পরিকল্পনা উন্মোচন করেছে চীন

0
281

চীন এই দশকের শেষের দিকে মঙ্গলে প্রেরিতব্য রোবট অনুসন্ধানী যানের নকশা উন্মোচন করেছে। এই রোবট যানটি মঙ্গলে পাঠানোর জন্য তাঁরা নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন বলে বুধবারে দেশটির রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সাথে মহাশূন্য প্রতিযোগীতায় তাল মেলানোর জন্য চীন সম্প্রতি মহাশূন্য প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ঢালছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটি গত এপ্রিলে মঙ্গলে প্রদক্ষীনকারী একটি নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষনা করে। এটি একই সাথে মঙ্গলে রোবটযানও অবতরণ ঘটাবে।

এই প্রকল্পের প্রধান নির্মাতা ঝ্যাং রঙকিও মঙ্গলবারে বলেছেন, তাঁরা সেই বছরের জুলাই বা আগস্টমাসকে উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ধরে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “আমরা যে ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি তা নজিরবিহীন।“

একজন মিশন সমন্বয়কারী ইয়ে পেইজিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, হাইনান প্রদেশের ওয়েনচ্যাং মহাশূণ্য উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে লং মার্চ-৫ রকেটের মাধ্যমে এই নভোযান উৎক্ষেপন করা হবে। সাত মাসের ভ্রমন শেষে কক্ষভ্রমনকারী নভোযান থেকে রোবটযানটি পৃথক হয়ে মঙ্গলের বিষুবীয় অঞ্চলের ভুমিতে অবতরণ করবে এবং এর পৃষ্ঠ উদ্ঘাটন করবে।

২০০ কেজি ভরের রোবটযানটিতে ছয়টি চাকা থাকবে এবং চারটি সৌরপ্যানেলের মাধ্যমে এতে শক্তি সরবরাহ করা হবে এবং ৯২ দিন কার্যক্ষম থাকবে। মঙ্গলের মাটি, পরিবেশ এবং অভ্যন্তরীণ গঠন পর্যবেক্ষণের জন্য এতে রিমোট সেন্সিং ক্যামেরা এবং ভুমি-বিদারক রাডারসহ ১৩ টি সরঞ্জাম থাকবে।

chinahasanam

চীনের উচ্চাভিলাষী, সেনা পরিচালিত এবং বিলিয়ন ডলার বাজেটের মহাশূন্য প্রকল্প রয়েছে। এটিকে চীন তার উদীয়মান বৈশ্বিক মর্যাদা বৃদ্ধির সূচক হিসেবে দেখছে। এটি ২০১৩ সালে একটি চন্দ্রযান পাঠিয়েছে যা কারিগরি সমস্যার মধ্যে পড়ে এর কার্যকালের আংশিক সময় কর্মক্ষম থেকে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত চীন মহাশূন্য অভিযানে যা অর্জন করেছে তা যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া কয়েকদশক আগেই সম্পন্ন করে ফেলেছে। তাই তারা মঙ্গল অভিযানে অগ্রবর্তী হওয়ার জন্য যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।

⚫ বিজ্ঞানপত্রিকা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.