বিজ্ঞান পত্রিকা

কার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে শূন্য (০) -র অধিকতর প্রাচীন ইতিহাস উদ্ঘাটন

সংখ্যা ব্যবস্থার ইতিহাস অনেক প্রাচীন হলেও সংখ্যায় শূন্যের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত নবীন। সেই শূন্যের ব্যবহারের নতুন ইতিহাস পাওয়া গেল কার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে। একটি প্রাচীন ভারতীয় পান্ডুলিপিতে শূন্যের এই ব্যবহার পাওয়া গেছে।

কার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে দেখা যায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত বাখশালি পান্ডুলিপিটির রচনার সময়কাল তৃতীয় থেকে চতুর্থ শতাব্দী, যা শূন্যের ব্যবহারে পূর্বের রেকর্ডের তুলনায় কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। ইতিপূর্বে শূন্যের সবচেয়ে প্রচীন ব্যবহার পাওয়া গিয়েছিলো ভারতের গোয়াইলরের একটি মন্দিরে।

এই আবিষ্কার, গণিতের ইতিহাস যথাযথভাবে প্রণয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য সমসাময়িক কিছু সভ্যতা যেমন, মায়ান সভ্যতা কিংবা ব্যবিলনে শূন্যের ব্যবহার থাকলেও একটি ফাঁপা বৃত্তকে শূন্যের সংকেত হিসেবে ব্যবহারের প্রথম নিদর্শন বাখশালি পান্ডুলিপিতেই দেখা যায়। এই শূন্যের সংকেতের সাথে আধুনিক ব্যবহৃত সংকেতের যথেষ্ট মিল রয়েছে।

ইতিপূর্বে বাখশালি পান্ডুলিপিকে অষ্টম হতে দ্বাদশ শতাব্দীতে রচিত বলে মনে করা হলেও বর্তমান আধুনিক প্রযু্ক্তি কার্বন ডেটিং করে দেখা যায় এটি আরো কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। ইতিপূর্বে এই পান্ডুলিপিটির বয়স নির্ধারণে বিশেষজ্ঞরা ঝামেলায় পড়েন কেননা এটি বার্চ গাছের বাকলের ৭০ টি পাতায় নির্মিত এবং এই বস্তুগুলো বিভিন্ন সময়কার।

পান্ডুলিপিটিকে ১৮৮১ সালে বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত বাখশালি গ্রাম হতে উদ্ধার করা হয়। ১৯০২ সালে এটিকে অক্সফোর্ডের গ্রন্থাগারে স্থানান্তর করা হয়। শূন্য-এর ব্যবহার উদ্ভাবন গণিতের প্রাথমিক যুগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর একটি বলে জানান অক্সফোর্ডের গণিতের অধ্যাপক মার্কাস দু সতয়। [সূত্র: বিবিসি]

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

Exit mobile version