প্রথমবারের মতো, বিজ্ঞানীরা বানরের মস্তিষ্ককে মানব মস্তিষ্কের সমকক্ষ করার জন্য জিন-সম্পাদনা কৌশল ব্যবহার করেছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, রেসাস মেকাক নামক বানরগুলি আরও বেশ চালাক হয়ে উঠেছে এবং তাদের স্মরণ শক্তি অন্যান্য সাধারন বানরের তুলনায় বেশি ছিল। তবে, গবেষণাটি নৈতিকতাবাদীদের মধ্যে বিজ্ঞানীদের জেনেটিক পরীক্ষার সীমারেখা নিয়ে তুমুল বির্তকের সৃষ্টি করেছে।
চীনা বিজ্ঞানীদের দলটি বানরের এমসিপিএইচ 1 নামক জিনের মানব সংস্করণটিকে সম্পাদনা করেছেন। সময়ের সাপেক্ষে মানব মস্তিষ্ক যেভাবে বিকাশ লাভ করে, নতুন জিনটি বানরের মস্তিষ্ককে তার কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। চায়না ডেইলি পত্রিকার বরাতে জানা যায়, জিন সম্পাদিত বানরগুলোর প্রতিক্রিয়া প্রকাশের সময় ভাল ছিল এবং তাদের স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি শক্তি অন্যান্য সাধারন বানরের তুলনায় উন্নত ছিল।
কিন্তু সবাই এই জিন সম্পাদনার বিষয়টি ভালভাবে দেখছেন না।
“মস্তিষ্কের বিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত মানব জিনগুলি অধ্যয়ন করার জন্য জিন সম্পাদিত বানরের ব্যবহার করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ।” বলে মন্তব্য করেছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন বিশেষজ্ঞ জেমস সিকেলা। তিনি এমআইটি টেকনোলজি রিভিউকে আর ও জানান, “এটি এমন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে যার জন্যে আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে। এবং এক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হয়তো আমরা আরো নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারি।”
এমআইটি টেক এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বুদ্ধিবৃত্তিতে জিনের ভূমিকা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হলে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন মানুষ কিভাবে এত বুদ্ধিমান প্রানীতে পরিণত হয়েছে।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির জন্যে কিছু বানরের একটা জিন সম্পাদনার কারনে ডারউইনের বিবর্তনবাদ পাল্টে যাবে না। “প্ল্যানেট অফ দ্য এইপস” সিনেমার মত আন্দোলন বা বিদ্রোহের ও কোন সম্ভাবনা নেই। বরং এটা আমাদের শেখাতে পারে কিভাবে এবং কেন মানুষ এত বুদ্ধিমান হয়ে উঠল। [Futurism অবলম্বনে]
-পুলক বড়ুয়া।