পুনরোৎপাদনক্ষম ঔষধ নিয়ে কাজ করা একজন বিজ্ঞানী অব্রে দ্য গ্রে মনে করেন জৈবপ্রযুক্তি এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে যার ফলে বর্তমানে বেঁচে আছেন এমন কেউ কেউ হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারবেন।
দ্য গ্রে বর্তমানে সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করছেন। সেখানকার একদল বিজ্ঞানী প্রযুক্তিগতভাবে মানুষের আয়ু যথাসম্ভব বৃদ্ধি করার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দিন দিন এই গবেষণাখাতে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জুন ইয়ুন নামের এক কোরিয়ান ডাক্তার সুস্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রেখে কোনো প্রানীর আয়ু পঞ্চাশ শতাংশ বাড়ানোর জন্য পাঁচলক্ষ ডলারের দুটি পুরষ্কার ঘোষনা করেছেন।
ইয়ুন যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু ২০ বছর বয়সী কোনো ব্যক্তির মরণশীলতার হার একহাজারে এক, সেহেতু ২০ বছর বয়সী কারো স্বাস্থ্য যথাযথভাবে ধরে রেখে তাকে এক হাজার বছর আয়ু দেওয়া সম্ভব। এই দুজনের বাইরে আরো অনেকেই আছেন তাঁরা এতটাই আশাবাদী যে নিজের উপর পরীক্ষা চালাতেও দ্বিধা করছেন না।
তবে সিলিকন ভ্যালির বাইরের অন্যান্য গবেষকগণ আয়ু বৃদ্ধির এই ধারনা নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে তেমন বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেন নি। অনেকেই মনে করছেন দ্য গ্রের সহস্রায়ুর ধারনা প্রায় অসম্ভব। অন্যরা ভাবছেন, সিলিকন ভ্যালির “দ্রুত চলো এবং ভেঙ্গে চুরে এগিয়ে যাও” এই স্লোগান মানুষের আয়ু নিয়ে গবেষণায় প্রয়োগ করা উচিৎ নয়। এসব ক্ষেত্রে নৈতিকতার বিষয়গুলোও জড়িত থাকে। তাছাড়া এধরনের কোনো সক্ষমতা তৈরি হলেও তার সুফল ভোগ করতে পারবেন গুটিকয়েক ধনকুবের ব্যক্তি। সাধারণ মানুষের জন্য এসব প্রযুক্তি অধরাই থেকে যাবে দীর্ঘকাল। [Futurism অবলম্বনে]