বিজ্ঞান পত্রিকা

পতঙ্গের অবাক করা ক্যামোফ্ল্যাজ

বিবর্তনের ধারায় এই পৃথিবীতে কয়েক কোটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৫% ই পতঙ্গ শ্রেণীতে পড়ে। এই পতঙ্গগুলোর প্রতিটিরই রয়েছে নিজস্ব আত্মরক্ষার ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাগুলো এতই বৈচিত্র্যময় যে রীতিমত অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। এ ধরনেরই একটি আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা হচ্ছে ক্যামোফ্ল্যাজ।

ক্যামোফ্ল্যাজ হচ্ছে এমন একটি বৈশিষ্ট্য যার মাধ্যমে কোন প্রানীকে তার পরিপার্শ্ব থেকে সহজে পৃথক করা যায় না। এর ফলে প্রায়ই প্রানীটি বিভিন্ন শিকারির নজর এড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্য সবচেয়ে সহজ কৌশল হল প্রানীটির গায়ের রং তার পরিবেশের সাথে মিলে যাওয়া। যেমনটা হল ঘাস ফড়িংয়ের।

কিছু কিছু পতঙ্গের শুধু গায়ের রং নয় বরং শরীরে বিভিন্ন নকশা থাকে যা তাকে পরিবেশের সাথে মিশিয়ে রাখে। এই গুবরে পোকাটি যে বালির উপর চরে বেড়ায় তার গায়েও সেই বালির মতই ছবি আঁকা। ফলে বালির মাঝে পোঁকাটিকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন।

এবার এই ছবিটি দেখুন। এখানে পোকাটিকে সনান্ত করতে পারছেন কি? হ্যাঁ, আশ্চর্য হলেও সত্যি যে এই শুকনো কাঠির মত দেখতে জিনিসটিই হল একটি পতঙ্গ। নিশাচরী পোকাটি দিনের বেলায় শত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোন একটি শুকনো ডাল ধরে নির্জীব অবস্থায় পড়ে থাকে।

পরিবেশের সাথে মিশে থাকার জন্য পোকা-মাকড়ের যে কত বিচিত্র ধরনের ক্যামোফ্ল্যাজ তৈরি হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর। নীচের পোকা গুলোর প্রত্যেকটি এ ব্যাপারে অনন্য:


এই শুঁয়াপোকাটির গায়ের নকশা সেই যেই গাছের সাথে লেগে আছে সেই গাছের ছালের মত।


পতঙ্গটিকে ফুলটির অংশ বলেই মনে হয়!


পোকা-পাতা একাকার।

ফড়িংটি গাছের ডালের সাথে মিলে গেছে।

বিশ্ময়ের এখনো বাকী আছে!

প্রজপতির পাখা চারপাশের শুকনো পাতার সাথে একীভূত।

এইরকম আরো অগণিত বিস্ময় প্রকৃতির সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
পতঙ্গ ছাড়াও প্রাণিজগতের অন্যান্য শাখায় ক্যামোফ্ল্যাজের বিস্ময় যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। নিচে যেমন একটি টিকটিকি এবং একটি মাছের ছবি দেয়া হল:

এবার কয়েকটি বোনাস:



আপনাদের বিস্ময়ের ঘোর কাটার আগেই বিদায় নিয়ে নিচ্ছি। সবগুলো ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

Exit mobile version