বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ গতকাল রাতে বাংলাদেশ সময় ২ টা ১৪ মিনিটে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মহাশূন্য সংস্থা স্পেস এক্সের অত্যাধুনিক রকেট ফ্যালকন-৯ এর পে লোড হিসেবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লাঞ্চ প্যাড হতে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়।
এই উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের মালিকাধীন দেশের দলে ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করল।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট একদিন আগেই উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও শেষ মূহুর্তে তা বন্ধ হয় যায় এবং পরেরদিন একই সময় উৎক্ষেপণের জন্য পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা হয়। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সেই সময় ফ্লেরিডায় অবস্থান করে এই উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি জানান স্যাটেলাইটটিকে ভূমি হতে ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে স্থাপন করার পথে রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে ফ্রান্সের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। উৎক্ষেপণের পর স্যাটেলাইটটিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও কোরিয়াতে অবস্থিত তিনটি ভুমিতে স্থাপিত স্টেশনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এটিকে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের গাজীপুরেও একটি স্টেশন স্থাপন করা হয়ছে। আর বিকল্প হিসেবে থাকবে রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র।
উৎক্ষেপনের তিন বছর পর্যন্ত নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালনা করা হবে। অতঃপর অভিজ্ঞতা অর্জন সাপেক্ষে এটিকে পরিচালনা পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এ ৪০ টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এসবের মাধ্যমে এটিকে ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ ও টেলিভিশন সম্প্রচারে কাজে লাগানো হবে। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ যারা সরাসরি উপভোগ করতে পারেননি তারা নিচের রেকর্ডকৃত ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।