দূর থেকে দেখে মনে হয় অনেকগুলো ভেড়া পাহাড়ের ধারে চরে বেড়াচ্ছে। তবে একটু কাছে এগিয়ে গেলে দেখা যাবে এরা তৃণভোজী নয় বরং মাংসাশী। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ র্যাংগেল-এ এই তিমির মৃতদেহ ভেসে আসায় শতশত মেরুভল্লুক ভোজনে অংশ নেয়।
এই অতিচমৎকার ও বিরল দৃশ্য উত্তর মেরু ভ্রমনরত একদল সৌভাগ্যবান পর্যটকের দৃষ্টিগোচর হয়। উত্তর সাইবেরিয়ার সমুদ্রতটের নিকটে র্যাংগেল দ্বীপে তাঁর দেখতে পান সৈকতের একটি মৃত বো-হেড তিমির মৃতদেহকে ঘিরে মেরুভল্লুকদের আনাগোনা। প্রত্যেকের মুখভর্তি একটুকরো পচনোন্মুখ মাংসের টুকরো। এই ঘটনাটি বিজ্ঞানীদের জানানো হয়েছে এবং তাঁরা এখন তা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
একটি ব্লগ পোস্টে পর্যটকদলের নেতা রডনি রাস জানান, “আমরা উপকূল ধরে নিচে নামছিলাম এবং তখন মেরুভল্লুকদের ‘পাল’ বা ‘সম্মেলন’-টি চোখে পড়েছে। সেখানে একটি বো-হেড প্রজাতির তিমির মৃতদেহ পড়ে ছিলো এবং আমরা দেশশতাধিক ভল্লুক গুনেছি… এরা তিমিটির কাছাকাছি খাবার খাচ্ছিল কিংবা খেয়ে শেষ করেছিলো।”
র্যাংগেল দ্বীপের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভল্লুকের সংখ্যা আরো বেশি নির্ধারন করে এবং এই সংখ্যাটি ২৩০ বলে জানায়। কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করেছে, বিভিন্ন বয়স ও লিঙ্গের ভল্লুক সেখানে উপস্থিত রয়েছে এবং মা ও বাবা ভল্লুকের সাথে তাদের শাবকগুলোও ভোজ পর্বে অংশ নিয়েছে। অন্ততঃ দুটি মা ভল্লুকের সঙ্গে চারটি করে শাবক উপস্থিত ছিল।
পূর্ণবয়ষ্ক পুরুষ ভল্লুকগুলোকে সাধারণত মা ভল্লুক ও শাবকদের সাথে একত্রে দেখা যায় না, কেননা পুরুষ ভল্লুকগুলোর শাবকদের খেয়ে ফেলার একটা প্রবণতা রয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে বেশ স্পষ্টই দেখা গেল, যখন খাদ্যের উৎস পর্যাপ্ত হয়ে দেখা দেয় তখন এধরনের প্রবৃত্তি দূর হয় এবং পরস্পরের মধ্যে সহযোগীতার মনোভাব তৈরি হয়। একত্রে মেরুভল্লুকের এতবড় ভিড় নজির বিহীন। [iflscience.com অবলম্বনে]