বিজ্ঞান পত্রিকা

প্রথমবারের মতো বামনগ্রহের চারদিকে বলয় আবিষ্কৃত

একদা মনে করা হতো শনি গ্রহ এর বলয়ের উপস্থিতির জন্য অন্যদের তুলনায় স্বতন্ত্র। কিন্তু পরবর্তীতে ইউরেনাসের বলয় আবিষ্কৃত হওয়ায় আমরা জানতে পারি বলয়ের উপস্থিতির দিক থেকে শনি গ্রহ একা নয়। আর বর্তমান পর্যবেক্ষণ হতে জানা যায় এমনকি বামন গ্রহের চারদিকেও এমন বলয়ের উপস্থিতি থাকতে পারে।

এই বামন গ্রহটির নাম হমিয়া যা সূর্য হতে পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বেরও পঞ্চাশগুণ বেশী দূরে নেপচুন পেরিয়ে অবস্থান করছে। এই অবস্থানের কারণে এটি ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তু হিসেবে পরিচিত। নেপচুনই সৌরজগতের সবচেয়ে বাইরের দিকের গ্রহ এবং এরচেয়ে দুরবর্তী এবং অপেক্ষাকৃত ক্ষূদ্র গ্রহসদৃশ বস্তুগুলোকে বামনগ্রহ হিসেবে পাওয়া যায়।

নেচার জার্নালে প্রকাশিত স্পেনের জ্যোতির্বিদ্যা ইনস্টিটিউটের সংঘটিত এই গবেষণা হতে দেখা যায় গ্রহের চারদিকে বলয়ের সৃষ্টি যতটা বিরল ভাবা হয় আসলে ততটা বিরল নয়। ইতিপূর্বে সেন্টরস নামের একটি বস্তুতেও (বৃহস্পতি এবং নেপচুনের মাঝে এর অবস্থান) বলয় আবিষ্কৃত হয়েছে। এখন নেপচুন-বহির্ভূত বস্তুর ক্ষেত্রেও একটি পর্যবেক্ষণ করা হলো।

এই গবেষণার গবেষক, হোসে ওরিজ এক বিবৃতিতে বলেন, “এখন মনে হচ্ছে সৌরজগতের বাইরের দিকে বলয়ের উপস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। আমাদের ধারনা এই বলয়টি শিলা এবং পানির মাধ্যমে গঠিত যাতে সামান্য কিছু জৈব বস্তুও রয়েছে।”

এই বলয়ের ব্যস ৪৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি। তবে এটি কেবল ৭০ কিলোমিটার চওড়া। এটি গ্রহটির পৃষ্ঠ হতে ১০০০ কিলোমিটার উপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করছে।

তবে বলয়টি খুঁজে পাওয়া মোটেও সহজ ছিলো না। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে একদল জ্যোতির্বিদ ১০ টি স্থানের ১২ টি টেলিস্কোপের মাধ্যমে একটি দূরবর্তী নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এই বামন গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। নক্ষত্রের আলোয় সৃষ্ট গ্রহের ছায়া পর্যবেক্ষণ করে এই বলয় আবিষ্কৃত হয়েছে।

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিওগুলো দেখতে পাবেন ইউটিউবে। লিংক:
১. স্পেস এক্সের মঙ্গলে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা
২. মাইক্রোস্কোপের নিচের দুনিয়া

Exit mobile version