পরিবেশ সংরক্ষণের একটি বিরল বিজয়ের দৃষ্টান্ত হয়ে চিলির সরকার একটি বিপুলাকারের বিতর্কিত খনির প্রকল্প বন্ধ করেছে। এই প্রকল্পটির বিরুদ্ধে পরিবেশ বিপর্যয় ও বন্যপ্রানী ধ্বংসের প্রবণতার অভিযোগ উঠেছিলো। এর মাধ্যে রয়েছে চিলির অত্যন্ত আদূরে হামবোল্ড পেঙ্গুইন।
ডোমিঙ্গা প্রকল্প নামের তামা ও লোহা সমৃদ্ধ খনিটিতে আড়াই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ছিলো। খনিটি উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে চালু করার কথা আন্দিজ আয়রন কোম্পানির। এই খনির অবস্থান মধ্যচিলির কোকুইম্বো অঞ্চলে। এটি এতোই বড় হওয়ার কথা যে খনিটি খননের সাথে সাথে খনিজ পদার্থ পরিবহনের জন্য এখানে একটি সমুদ্র বন্দর প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। চালু হওয়ার পর এই খনিটি প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টন লোহা এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজার টন তামা উৎপাদন করত।
তবে ক্রমাগত বিতর্ক এবং পরিবেশ রক্ষায় কোনো নিশ্চয়তা না থাকায় চিলির মন্ত্রীসভার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ এই প্রকল্পের পরিকল্পনায় অনুমোদন দেন নি। তবে সরকারী দপ্তর জানিয়েছে আন্দিজ আয়রন কোম্পানী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে।
পরিবেশবাদীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন কেননা এটি চিলির গর্ব হামবোল্ডট পেঙ্গুইনের অস্তিত্বে হুমকী তৈরি করত। এই পেঙ্গুইনের নিবাস খনি অঞ্চলের বেশ কাছে এবং কোকুইম্বো অঞ্চলে। এই অঞ্চল পেঙ্গুইনের প্রজননের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। পেঙ্গুইনের এই প্রজাতি কেবল চিলি এবং পেরুর সমুদ্রতটেই পাওয়া যায় এবং ইতিমধ্যে প্রজাতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ। [iflscience.com অবলম্বনে]
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক