বিশ্বের প্রথম পূর্নাঙ্গ ভাসমান বাতাস টারবাইন স্থাপিত হয়েছে স্কটল্যান্ডের পশ্চিম সমুদ্রতটে।
এই বৈপ্লবিক প্রযুক্তি সমুদ্রের অনেক গভীরাঞ্চলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা প্রদান করবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে কেবল সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলেই বাতাস টারবাইন স্থাপন করা যায়। এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প যা ২০,০০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবারাহ করবে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলছে এই পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন অত্যন্ত লাভজনক এবং যেসব দেশে সমুদ্র বেশ গভীর সেসব জায়গায় খুব সহজে কাজে লাগানো যাবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
ইতিমধ্যে এই পরিকল্পনার অধীনে একটি টারবাইন বসানো হয়েছে এবং আরো চারটি টারবাইন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়ছে। যদিও বর্তমানে এই টারবাইনগুলোর উৎপাদন বেশ ব্যয় বহুল কিন্তু সময়ের সাথে এবং ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে এগুলোর নির্মান ব্যয় কমে আসবে, যেমনভাবে দাম কমেছে সমুদ্রতীরে স্থাপনযোগ্য টারবাইনের।
ছবিতে দেখে মনে না হলেও এই টারবাইনগুলো একেকটি দৈত্যাকারের। এক নজরে টারবাইনগুলোর তথ্য দেখে নেওয়া যাক:
- ব্লেড সহ প্রতিটি টাওয়ার এ মাথা হতে ও মাথা পর্যন্ত ১৭৫ মিটার প্রসস্ত, যার তুলনায় বিগবেন বেশ খর্বাকায়।
- প্রতিটি টাওয়ারের ওজন ১১,৫০০ টন
- ব্লেডের পেছনে যে বাক্স রয়েছে তাতে দুটি দোতলা বাস অনায়াসে এঁটে যায়
- প্রতিটি ব্লেডের দৈর্ঘ্য ৭৫ মিটার
- টারবাইনগুলো এক কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে কাজ করতে পারে
- ব্লেডগুলোতে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে এগুলো ঢেউ, বায়ু প্রবাহের বিক্ষিপ্ততা, স্রোত ইত্যাদির প্রতিকূলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক