বিজ্ঞান পত্রিকা

প্রথম দ্বৈত হাত সংযোজন সফল ঘোষিত

চার জনের ডাক্তার দলের প্রায় ১১ ঘন্টা সার্জারির পর জিওন হার্ভে নামের আট বছরের এক শিশু মেডিকেল জার্নালে ঠাঁই নিয়েছিলো। এই শিশুটিই বিশ্বে প্রথম যার দুটি হাতই নতুন এক চিকিৎসা ব্যবস্থায় সংযোজন করে দেওয়া হয়েছিলো।

সেই প্রতিস্থাপনের দুই বছর পর খেলা পাগল ছেলেটি তার সংযোজিত  দুটি হাত কাজে লাগিয়ে স্বাধীন জীবন উপভোগ করছে। বুধবারে প্রকাশিত মেডিকেল জার্নাল প্রতিবেদনে শিশুটির দুটি হাত প্রতিস্থাপনের ঘটনাকে সফলতা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে এবং বলা হয়ছে শিশুটির এই অপারেশনের অভিজ্ঞতা অন্য শিশুদের চিকিৎসাতেও কাজে লাগানো সম্ভব হবে।

দুই বছর বয়সে সেপসিসে আক্রান্ত হয়ে জিওনের হাত ও পায়ের পাতা কেটে ফেলতে হয়েছিলো। ছয় বছর ধরে তাকে কর্তিত হাত পা ব্যবহার করে এবং বিশেষ কিছু সরঞ্জাম দিয়ে সব কাজকর্ম চালাতে হয়েছে।

গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, “সংযোজনের ১৮ মাস পর শিশুটি তার পূর্ববর্তী অক্ষমতা কাটিয়ে উঠেছে। কেননা, সর্জারি ঘটানোর ১৮ মাস পরে সে নিজে নিজেই এবং দক্ষতার সাথে লিখতে, খেতে, জামাকাপড় পরতে পারে যা সে সংযোজনের আগে পারত না।”

অঙ্গ সংযোজন একটি ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন, কেননা রোগীর শরীর নতুনভাবে সংযোজিত অঙ্গ গ্রহণ নাও করতে পারে। সেই সাথে এই সময় ব্যবহৃত নানাবিধ ঔষধ শরীরের অন্যান্য জটিলতাও তৈরি করতে পারে। সার্জারি ঘটনোর দুই বছর পরে দেখা যাচ্ছে জিওন এই দুটি সমস্যাই সফলতার সাথে উৎরে গেছে।

১৯৯৮ সালে প্রথম সফলভাবে একটি হাত সংযোজনের মাধ্যমে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের যাত্রা শুরু হয়। তারপর বিগত বছরগুলোতে শতাধিক মানুষকে অঙ্গ সংযোজন করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অনেকদেশের সতর্কতার সাথে বাছাই করা কিছু বিকলাঙ্গ ব্যক্তিকে অঙ্গ সংযোজনের আওতায় আনা হয়েছে। অঙ্গ সংগ্রহ করা হয় সদ্য মৃত অঙ্গদাতার শরীর হতে।

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

Exit mobile version