বিজ্ঞান পত্রিকা

চীনে বন্ধের পথে কাগজের টাকা আদান-প্রদান

চীন থেকে কাগজের মুদ্রা মোটামুটি উঠে যাচ্ছে শিঘ্রই। তার বদলে চালু থাকবে মোবাইল লেন দেন। ২০১৬ সালে চীনে প্রায় সাড়ে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমান অর্থ মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে লেনদেনে আপনাকে কোনো বস্তুগত কাগজের নোট বহন করতে হবে না। তার বদলে আপনার থাকবে একটি বা একাধিক মোবাইল একাউন্ট এবং তাতে কিছু সংখ্যা যা আপনার অর্থের পরিমানের সূচক হবে। লেনদেনের জন্য পকেটের স্মার্ট ফোন থেকে শুধু নির্দিষ্ট পরিমানের সংখ্যা আপনি অন্য কারো একাউন্টে পাঠাবেন এবং তার একাউন্টে সেই সাংখ্যিক মানের অর্থ জমা হয়ে যাবে।

চীনে এই পদ্ধতিতে টাকা আদান-প্রদানে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ফুটপাতে ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেওয়া হতে শুরু করে যেকোনো বড় বড় লেনদেন অনায়াসে করে ফেলা যাচ্ছে। চীন তাই পুরোপুরি কাগজের টাকা হতে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে চীন এক নয়, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোও এই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গতবছর সুইডেনের মাত্র ২ শতাংশ লেনদেন কাগুজে টাকায় হয়েছে। বাকী লেনদেন হয়েছে অনলাইনে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও এই দিক থেকে অনেকখানি এগিয়ে গেছে।

কাগুজে টাকার বদলে অনলাইনে টাকা আদান প্রদানের সুবিধা বলাই বাহুল্য। এর ফলে টাকা-পয়সার লেন দেনের নানাবিধ জটিলতা এড়িয়ে সহজেই হস্তান্তর করা যায়। ব্যাংক হতে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলা, জমা দেওয়া, ঝুঁকি নিয়ে টাকা পরিবহনের ঝামেলাও এড়ানো যায়। তবে এই পদ্ধতিতে কিছু সমস্যাও আছে। অনলাইনে নিরপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ করতে না পারলে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টাকা-পয়সা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া টুরিষ্টদের জন্য, বা সাময়িক অবস্থানকারী ব্যক্তিদের জন্য এই পদ্ধতিতে লেনদেন সহজ নয়। [futurism.com অবলম্বনে]

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

Exit mobile version