সম্প্রতি চীন তাদের ১০০ টিরও বেশী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। যদি এসব বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তৈরী হতো তাহলে কয়লা পুড়িয়ে প্রায় ১২০ গিগাওয়াট (GW) বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম হতো। এই সমন্বয়ের মাধ্যমে চীনে পরিচ্ছন্ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি পাবে।
যদিও চীনের দূষণ সমস্যা বহুল আলোচিত তবে দেশটি মূলত ভবিষ্যতে কয়লা সংরক্ষণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এসব প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে চীনের বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যমান ৯২০ GW বিদ্যুতের সাথে আরও ১১০০ GW বিদ্যুত যোগ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিলো যার পুরো অংশই কয়লা পুড়িয়ে। কিন্তু চলমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মান সম্পন্ন হয়ে এর পরিমাণ ১২৫০ GW এ পৌছে যেত।
এ সপ্তাহে জারি করা এক নির্দেশনায় দেশটির জাতীয় জ্বালানী প্রশাসন নতুন ১০৩টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা ও নির্মাণ বাতিল করে। এ প্রকল্পগুলো মোট ১৩ টি প্রদেশে বিস্তৃত ছিলো এবং এর ব্যয় নির্ধারিত হয়েছিলো প্রায় ৪৩০ বিলিয়ন ইউয়ান (৬২ বিলিয়ন ডলার)।
স্থগিতকৃত এসব প্রকল্প চীনের অর্থনীতিতে বড় ধরনের আঘাত হানবে এবং ভবিষ্যতে একটি শক্তি উদ্বৃত্ত পরিকল্পনা খুব একটা সহজ হবেনা। তবে যা-ই ঘটুক না কেন, পরিবেশবাদী দলগুলো পৃথিবীর বৃহৎ দূষণকারী জীবাশ্ম জ্বালানীর প্রকল্প বাতিল করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।
চীনের জিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি নীতি গবেষক লিন বোকিয়াংয়ের মতে নির্মাণাধীন প্রকল্প স্থগিত করায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হবে এবং এতে নিয়োজিত বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের একটি যুদ্ধের মাঝে পতিত করবে। [সাইন্সএলার্ট- অবলম্বনে]
-শফিকুল ইসলাম