দেখে মনে হতে পারে, এই আলোর স্তম্ভগুলো ধরে মহাজাগতিক প্রানী হাজির হয়েছে, কিন্তু আসলে তা নয়। পার্থিব ঘটনাতেই কানাডার ওন্টারিওতে এই বর্ণিল আলোর স্তম্ভগুলো তৈরি হয়েছে। এই বিরল দৃশ্য সকালের আলোর স্মার্টফোনের ক্যামেরায় বন্দী করেছেন টিমি জো এলজিঙ্গা।
এলজিঙ্গা যখন এই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন তখন স্থানীয় সময় রাত ১:৩০। এগুলো মেরুজ্যোতির মাধ্যমে সৃষ্ট বলে তিনি শুরুতে মনে করেছিলেন। এলজিঙ্গা ছবিগুলো তুলেছেন তাঁর বাথরুমের জানালা দিয়ে। নিজে একজন শখের ফটোগ্রাফার হওয়ায় ছবিগুলো তিনি তুলতে সক্ষম হয়েছেন। ছবি তোলার অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি তাঁর ফোনের ক্যামেরার এক্সপোজার সেটিং বদলে দীর্ঘ আট সেকেন্ড ধরে প্রতিটি ছবি তুলতে পারেন। যার ফলে উজ্জলতা যথাযথ ভাবে ক্যামেরাবন্দী হয়। নিজের চোখে দেখার আগে তিনি আলোর এই স্তম্ভ সম্বন্ধে অবগত ছিলেন না।
নাসার বিশেষজ্ঞগণ পরবর্তীতে আলোর স্তম্ভের এই ঘটনা ব্যাখ্যা করেছেন। শীতকালের ঠান্ডা রাতে চ্যাপ্টা বরফের ক্রিস্টালগুলো ক্রমশঃ ভুমির কাছাকাছি এসে জড়ো হতে থাকে সেগুলো এমনিতে বায়ুমন্ডলের উপরের দিকে অবস্থান করে। এই বরফের কণাগুলোকে অনেক সময় স্ফটিক কুয়াশা নাকে ডাকা হয়। যখন নিকটবর্তী কোনো আলোক উৎস যেমন গাড়ি, কিংবা নাগরিক সভ্যতার আলো এই স্ফটিক কুয়াশায় পতিত হয় তখন আলো প্রতিফলিত হয়ে এধরনের স্তম্ভ তৈরি হতে পারে।
আলোর স্তম্ভগুলো এতোই অদ্ভুতুড়ে যে মানুষ প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়ে এগুলোকে ইউএফও (UFO = unidentified flying objects) মনে করে। নায়াগ্রা জলপ্রাপাতের উপরে সৃষ্ট এমন অনেক আলোক স্তম্ভকে ইউএফও হিসেবে বিভিন্ন সময় অনেকে বর্ণনা করেছেন।
-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক