বিজ্ঞান পত্রিকা

কিউরিওসিটির আবিষ্কার: মঙ্গলের পৃষ্ঠ জৈব রসায়নে ছেয়ে আছে

মঙলে চরে বেড়ানো রোবট-যান কিউরিওসিটির নানা তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এর পৃষ্ঠ খুব সম্ভবতঃ সমৃদ্ধ হয়ে আছে নানাবিদ জৈব বস্তুতে।

নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে কর্মরত জৈবরসায়বিদ ও ভুতত্ত্ববিদ জেনিফার আইজেনব্রড জানিয়েছেন তিনি এই ব্যপারে যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি বলেন, “এই বস্তুগুলো সমগ্র পৃষ্ঠে ছড়িয়ে আছে এবং সম্ভবতঃ শিলাস্তরেও রয়েছে। এটি এমন একটি বিষয় যা আলোচনার দাবী রাখে।”

এই মঙ্গলবার বিজ্ঞানীরা কিউরিওসিটির আরো বেশকিছু অনুসন্ধানী তথ্য প্রদর্শন করবেন। এই তথ্য মঙ্গলের পৃষ্ঠের ৯৮ মাইল চওড়া একটি ক্রেটারের পলিস্তরের বৈশিষ্ট্যসূচক। কিউরিওসিটি রোবটযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো নানাবিধ পৃষ্ঠীয় বস্তু বিশ্লেষণ করে এর পৃষ্ঠ কখনো প্রাণ ধারনের উপযোগী ছিলো কিনা তা নির্ধারণ করা। এই উদ্দেশ্য রোবট-যানটি স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করেছে।

মঙ্গলের মাটি অতীতের কোনো একসময় প্রাণ ধারনের উপযোগী ছিলো এবং এখনো সম্ভবতঃ আছে এই ধারণার পিছনে শক্ত আলামত পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা এখন এর রোবট-যানটিকে কাজে লাগাচ্ছেন প্রাণ ধারণ বিষয়ক আরো তথ্য ও সম্ভাব্য প্রাণের সংরক্ষিত নমুনা খুঁজে পাওয়ার জন্য।

এই গবেষণার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক জৈব উপাদানের উপস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখা, এটি এমন অভিযান যার মাধ্যমে বিস্ময়কর সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আইজেনব্রডের মতে, “আমার কাছে বাড়ি ফেরত এটি সবচেয়ে বড় বার্তা। চারবছর আগে আমাদের এমন কিছু বলা সম্ভব ছিলো না।”

বিজ্ঞানীরা এখনো জৈব উপাদানের উৎসের বিষয়ে কিছু জানেন না, এমনকি এটি কিভাবে মঙ্গলের কঠোর পরিবেশে টিকে আছে সেই বিষয়েও তাঁরা অবগত নন। এধরনের জৈববস্তুর উপস্থিতি কেবল অতীতের প্রাণ অনুসন্ধানের জন্যই যে কেবল গুরুত্বপূর্ণ তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতেও মঙ্গলে মানব উপনিবেশ স্থাপনের ক্ষেত্রে চাষাবাদের ক্ষেত্রে এদের বিশাল ভূমিকা থাকবে। [ Seeker.com অবলম্বনে ]

-বিজ্ঞান পত্রিকা ডেস্ক

Exit mobile version